শীতে নবজাতকের যত্নে রাখুন বিশেষ খেয়াল
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৬ নভেম্বর: শীতে বড়দের ত্বক খুব শুষ্ক ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে, তখন ভাবুন ছোট শিশু ও নবজাতক শিশুর কী অবস্থা হবে! শিশুদের ত্বক খুবই সূক্ষ্ম, সংবেদনশীল এবং নরম। ঠাণ্ডা ঋতুতে শিশুদের যত্ন নেওয়া একটু কঠিন হয়ে পড়ে, কারণ একটু অসাবধান হলেই তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় শিশুর জন্ম হলে তার বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। এই ঋতুতে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং দ্রুত নবজাতক শিশুকে তাদের শিকারে পরিণত করে। যেহেতু শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাই অসাবধানতা শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। আসুন জেনে নিই শীতে শিশুর যত্ন নিতে কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
শীতে শিশুর যত্নের টিপস
১.শীতকালে শিশুকে সুস্থ রাখতে তার শরীরের তাপমাত্রার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। নবজাতক শিশুরা প্রায়ই ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় হাইপোথার্মিয়ার ঝুঁকিতে থাকে, এতে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়। এটি যাতে না ঘটে তার জন্য আপনার শিশুকে গরম কাপড় পরিয়ে রাখা জরুরি। তার হাত, পা এবং মাথা বিশেষভাবে ঢেকে রাখুন।
২. খুব ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় প্রতিদিন শিশুকে স্নান করবেন না। স্নান করলে যদিও তার ত্বকের ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া পরিষ্কার হয়ে যায়, তাই একদিনের ব্যবধানে তাকে স্নান করান। স্নান করানোর সময় সব দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখুন, যাতে ঠাণ্ডা হাওয়া ভেতরে আসতে না পারে। ঠাণ্ডা হাওয়ার সংস্পর্শে আসার কারণে শিশুর ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে।
৩. শীতকালে শিশুদের ত্বক খুব শুষ্ক এবং রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। এমন অবস্থায় তার শরীরে লাল ফুসকুড়ি, চুলকানি ও খোস-পাঁচড়ার সমস্যা হতে পারে। প্রতিদিন বেবি স্কিন কেয়ার লোশন বা ময়েশ্চারাইজার লাগালে ভালো হয়। এতে ত্বক নরম ও সুস্থ থাকবে।
৪. আপনি যদি ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় প্রতিদিন আপনার শিশুকে স্নান করাতে ভয় পান, তবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার যথাযথ যত্ন নিন। রোদে বের করে হালকা গরম জলে একটি কাপড় ডুবিয়ে জল চিপে নিন। এটি দিয়ে শিশুর পুরো শরীর পরিষ্কার করুন। তারপর শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে ময়েশ্চারাইজার বা অলিভ, সরিষার তেল লাগান। ম্যাসাজ করার পরও শিশুর শরীর মুছে দিতে পারেন। মনে রাখবেন, ঠাণ্ডা ঋতুতে প্রতিদিন শিশুকে ম্যাসাজ করুন, এতে তার শরীর গরম থাকবে, রক্ত সঞ্চালন বাড়বে এবং মাংসপেশিও শক্তিশালী হবে।
৫. শিশুকে সুস্থ রাখতে বুকের দুধ খাওয়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে সঠিক শারীরিক বিকাশ নিশ্চিত হবে এবং শিশুও পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে। এতে করে শিশু ঠাণ্ডায় সহজে অসুস্থ হবে না।
No comments:
Post a Comment