৬৫ তম জন্মদিনে বিলাসবহুল গাড়ি কিনলেন অনিল কাপুর, দাম ও গাড়ির ফিচার্স চমকে দেবে
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৪ নভেম্বর:বয়স শুধুমাত্র একটি সংখ্যা, এই কথাটি যদি কারোর জন্য একেবারে যথাযথ প্রমাণিত হয় তিনি হলেন বলিউড অভিনেতা অনিল কাপুর। বর্তমান প্রজন্মকে প্রায় তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে এখনো তিনি যে কোন চরিত্রের জন্য একেবারে সাবলীল। আপাতত তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন অ্যানিমেল এবং ফাইটার সিনেমার জন্য। এরই মাঝে একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ মেব্যাক কিনে সকলকে চমকে দিয়েছেন তিনি।
৬৫ বছর বয়সী এই অভিনেতার কাছে আছে একাধিক গাড়ির কালেকশন। এবার সেই গাড়ির কালেকশনে যুক্ত হল মার্সিডিজ মেব্যাক এস 580। জার্মান কোম্পানির এই গাড়িটি স্বয়ংক্রিয় ট্রান্সমিশন সহ 3982 সিসি ইঞ্জিন দ্বারা পরিচালিত। শুধু বিলাস বহুল ফিচার্সের দিক থেকে নয়, আরামের দিক থেকেও সুপার স্টাইলিশ এই মডেল।
২০২২ সালে Mercedes-Maybach S-Class এর দুটি ভেরিয়েন্টে লঞ্চ করা হয়েছিল, যে দুটি হল S-580 এবং S-680। এতে রয়েছে ভার্টিকাল স্ল্যাট, ক্রোম-ফিনিশড এয়ার ভেন্ট এবং স্লিম এলইডি হেডল্যাম্প সহ একটি বড় ক্রোম গ্রিল।এই গাড়িতে রয়েছে স্লিক ORVM, ২১-ইঞ্চি অ্যালয় হুইল। রয়েছে LED টেললাইট, ক্রোম-কোটেড এক্সজস্ট টিপস। এয়ার কোয়ালিটি কন্ট্রোল দ্বারা গাড়ির ভেতরের বাতাসকে বিশুদ্ধ রাখা হয়।
অনিল কাপুরের এই নতুন গাড়ির মধ্যে রয়েছে ভ্যানিটি মিরর, ক্রুজ কন্ট্রোল, কাপ হোল্ডার, অ্যাক্টিভ নয়েজ ক্যানসেলেসন, হিটার, নেভিগেশন সিস্টেম, ভয়েস কন্ট্রোল, USB চার্জার এবং 12.8 ইঞ্চি টাচস্ক্রিন, যেখানে যখন তখন আপনি টিভি দেখতে পারবেন। গাড়িটিতে থাকা 4 জোন অটোমেটিক ক্লাইমেট কন্ট্রোল দ্বারা নিজের পছন্দমত পরিবেশ তৈরি করে নেওয়া যায়।
এই গাড়িতে রয়েছে 4 লিটার V8 টুইন টার্বোচার্জড ইঞ্জিন সঙ্গে 48 ভোল্টের EQ বুস্ট এবং মাইল্ড হাইব্রিড সিস্টেম। গাড়িটি 496 ব্রেক হর্সপাওয়ার এবং 700 এনএম টর্ক তৈরি করে। এই গাড়িটি সুরক্ষার দিক থেকেও কিন্তু রয়েছে অনেকটা এগিয়ে। গাড়িতে থাকা সেন্ট্রাল লকিং, পাওয়ার ডোর লক, অ্যান্টি থেফট এলার্ম, ট্র্যাকশন কন্ট্রোল, টায়ার প্রেশার মনিটর, ইঞ্জিন ইমোবিলাইজার, ক্র্যাশ সেন্সর, ইলেকট্রনিক ব্রেক ডিস্ট্রিবিউশন যাত্রীদের সুরক্ষিত থাকতে সাহায্য করবে।
গাড়িটিতে রয়েছে এয়ার ব্যাগ,সেন্ট্রাল লকিং, পাওয়ার ডোর লক, অ্যান্টি থেফট এলার্ম, ট্র্যাকশন কন্ট্রোল, টায়ার প্রেশার মনিটর, ইঞ্জিন ইমোবিলাইজার, ক্র্যাশ সেন্সর, ইলেকট্রনিক ব্রেক ডিস্ট্রিবিউশন ইত্যাদি। সবমিলিয়ে এই গাড়িটি সুরক্ষা এবং আরামের দিক থেকে যে কোন গাড়িকে পিছনে ফেলে দিতে পারে। এই লেটেস্ট মার্সিডিসের বাজার মূল্য ৩ কোটি টাকা, তবে গুণগত মানের দিক থেকে বিচার করলে গাড়িটির মূল্য আরো বেশি হওয়া উচিত।
No comments:
Post a Comment