"একদিন দেশ শাসন করবে আম আদমি পার্টি", দাবী কেজরিওয়ালের

"একদিন দেশ শাসন করবে আম আদমি পার্টি", দাবী কেজরিওয়ালের

প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৮ নভেম্বর : শুক্রবার বড় দাবী করলেন আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক তথা দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।  তিনি বলেন, "আম আদমি পার্টি একদিন দেশ শাসন করবে।"  কেজরিওয়াল তার দল 'এএপি'কে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল দল হিসেবে বর্ণনা করেছেন।  কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "এই সম্মেলনে যারা এসেছেন তারা সবাই বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল দলের অংশ।"

 কর্মী সম্মেলনে কেজরিওয়াল বলেন, "আজ পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে এমন কোনও দল নেই যা এত দ্রুত এগিয়েছে।"  দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, "দলের নাম গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ।"  তিনি বলেন, "আমাদের দল আজ দেশের তৃতীয় বৃহত্তম দলে পরিণত হয়েছে।  আমরা দিল্লীতে সরকার গঠন করেছি, পাঞ্জাবে সরকার গঠন করেছি।  গুজরাটে আমরা ১৪ শতাংশ ভোট পেয়েছি এবং পাঁচজন বিধায়ক নির্বাচিত করেছি।"

 

 কেজরিওয়াল বলেছেন, গুজরাটে পরবর্তী সরকার হবে আম আদমি পার্টির।  তিনি বলেন যে, "আমরা গোয়াতে দুজন বিধায়ক করেছি এবং এখন আম আদমি পার্টি জাতীয় দলের মর্যাদা পেয়েছে।  সারা দেশে এসেছে তৃতীয় অবস্থানে।  দেশে ১৩৫০টি দল আছে, কিন্তু আমরা সবাইকে পরাজিত করে তৃতীয় অবস্থানে এসেছি।" কেজরিওয়াল বলেন যে, "আমরা যত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি, আমার হৃদয় বলছে একদিন কংগ্রেস বিজেপিকে পিছনে ফেলে দেবে এবং আম আদম পার্টি দেশ শাসন করবে।"

 মনীশ সিসোদিয়া-সত্যেন্দ্র জৈন সম্পর্কে একথা বললেন

 মোদী সরকারকে নিশানা করে তিনি বলেন, "মণীশ সিসোদিয়া এমন একজন ব্যক্তি যিনি দেশে শিক্ষা বিপ্লব এনেছিলেন।  স্বাস্থ্যে বিপ্লব আনা সত্যেন্দ্র জৈনকে তারা জেলে রেখেছে।  যদি কখনও আপনার হৃদয় দুর্বল হয়ে যায়, তাহলে এই সমস্ত আপ নেতাদের স্মরণ করে অনুপ্রেরণা নিন যারা আজ ভগৎ সিং জির পথ অনুসরণ করে কারাগারের পিছনে রয়েছেন।"

তিনি আরও বলেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদী সৎ নন।  দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেউ নেই।  ২৭ জুন, মোদীজি এনসিপিকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলেছিলেন।  যে নেতাকে তিনি ৭০,০০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারী হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন, তিনি বিজেপিতে যোগদানের সাথে সাথেই তাকে উপমুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছিলেন।  আসামে নির্যাতিত ব্যক্তিকে বলা হয়েছিল তাকে জেলে পাঠানো হবে।  বিজেপিতে যোগদানের সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়।  সারদা চিট ফান্ড কেলেঙ্কারির জন্য বাংলায় নির্যাতিত শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়ে তার পাপ ধুয়ে ফেললেন।  এটাই কি প্রধানমন্ত্রীর সততা?"