ভালো সাজতে গিয়ে ফেঁসেই গেল পরাগ-পলাশ! আসছে কার কাছে কই মনের কথার দুর্ধর্ষ পর্ব
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১০ নভেম্বর: এই মুহূর্তে জি বাংলার পর্দায় সম্প্রচারিত অত্যন্ত চর্চিত একটি মেগা হল কার কাছে কই মনের কথা। এই ধারাবাহিকে নায়িকা শিমুলের চরিত্রে মানালি দে-র অভিনয় ইতিমধ্যেই মন জয় করে নিয়েছে দর্শকদের। ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে বিয়ের পর থেকেই বার বার স্বামীর অত্যাচারের শিকার হয় শিমুল। আর এবার শিমুলকে বিষ খাইয়ে নিজেই ফেঁসে গেল পরাগ।
কার কাছে কই মনের কথার নিয়মিত দর্শকরা জানেন, বিয়ে করে শ্বশুরবাড়ি আসার পর থেকে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে শিমুল। শাশুড়ি, স্বামী থেকে শুরু করে দেওর- কেউ পাশে ছিল না তার। যদিও এখন পরিস্থিতি বদলেছে। নিজ স্বভাবগুণে মধুবালার মন জয় করে নিয়েছে শিমুল।
বউমার জন্য নতুন করে বাঁচতে শিখেছেন মধুবালা। পুজোয় বৌমদের সঙ্গে মিলে মিশে আনন্দ করে পাড়ায় চাঁদা তোলা থেকে শুরু করে দুর্গাপুজো,এমনকি সব কুসংস্কার প্রথা ভেঙ্গে দিয়ে বিধবা হয়েও মা কে বরণ করতে পেরে খুব খুশী তিনি। আর মা এর সঙ্গে শিমুলের এত ভাব সহ্য করতে পারছে না পরাগ-পলাশ।
সেই জন্য পথের কাঁটা শিমুলকে সরাতে তাকে প্রাণে মারার ফন্দি করে পরাগ, পলাশ এবং প্রতীক্ষা। চিরতরে পৃথিবী থেকে না সরাতে পারলেও শিমুলের একটা বিরাট ক্ষতি করার ফন্দি আঁটে তিনজনে। সেই পরিকল্পনা মাফিক বিজয়া দশমীর দিন শিমুলকে বিষ মেশানো সিদ্ধি খাইয়ে দেয় পরাগ, পলাশরা।
স্বাভাবিকভাবেই বিষ মেশানো সেই সিদ্ধি খাওয়া মাত্র জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে শিমুল। এরপর অনেকক্ষণ হয়ে যাওয়ার পরেও তার জ্ঞান না আসায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আর তখন অতিরিক্ত ভালো সাজার অভিনয় শুরু করে পরাগ আর পলাশ। যাতে তাদের উপর কারোর সন্দেহ না হয়। কিন্তু তারপরেই আসে আসল টুইস্ট।
শিমুলের চিকিত্সা শুরু হওয়ার পর মধুবালা বিপাশাকে শিমুলের বাপের বাড়িতে খবর দেওয়ার কথা বলে।এদিকে শ্বশুরবাড়িতে খবর যাবে শুনেই ভয়ে কাঁটা হয়ে যায় পরাগ। ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে বারবার বাধা দিতে থাকে সে। পরাগের এমন আচরণ দেখে সন্দেহের তীর তার দিকে যায়। ছেলের এমন আচরণ দেখে মধুবালা কী আঁচ করতে পারবে সত্যিটা? উত্তর মিলবে ধারাবাহিকের আগামী পর্বে।
No comments:
Post a Comment