কোথায় হারিয়ে গেলেন রাজেশ খান্নার শ্যালিকা সিম্পল কাপাডিয়া?
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৪ নভেম্বর: সিম্পল কাপাডিয়া, না ভুল করে ডিম্পল কাপাডিয়াকে সিম্পল কাপাডিয়া বলছি না। আজ কথা বলবো ডিম্পল কাপাডিয়ার বোন সিম্পল কাপাডিয়া সম্পর্কে। আপনাদের মধ্যে হয়তো অনেকেই জানেন না রাজেশ খান্নার এক শ্যালিকা ছিলেন, যিনি বলিউডে কিছু বছর কাজ করেছিলেন কিন্তু দিদির মত সেই ভাবে খ্যাতি অর্জন করতে পারেননি। তাহলে চলুন শুরু করা যাক প্রতিবেদনটি।
১৯৫৮ সালের ১৫ই আগস্ট মুম্বাইতে জন্মগ্রহণ করেন সিম্পল। একজন অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন কস্টিউম ডিজাইনার। ১৯৭৭ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে রাজেশ খান্নার ‘অনুরোধ’ সিনেমায় জামাইবাবুর বিপরীতে অভিনয় করে বলিউডে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। জিতেন্দ্রর বিপরীতে ‘সাক্কা’ এবং ‘চক্রব্যূহ’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে কিছুটা খ্যাতি অর্জন করলেও ১৯৮৫ সালে শেখর সুমনের বিপরীতে আর্ট ফিল্ম ‘রেহগুজার’- এ অভিনয় করে অভিনয় জীবনে ইতি টানেন। স্বল্প ক্যারিয়ারে তিনি ‘লুটমার,’ ‘জামানে কো দেখানা হ্যায়’, ‘ জীবন ধারা ‘ এবং ‘দুলহা বিকতা হ্যায়’ সহ বেশ কিছু সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
সিনেমা জগত যে তার জন্য নয়, তিনি খুব ভালোভাবেই সেটা বুঝতে পেরেছিলেন তাই সিনেমা জগত থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তিনি বিখ্যাত কস্টিউম ডিজাইনার হয়ে উঠেছিলেন। শ্রীদেবী থেকে শুরু করে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, প্রায় প্রত্যেকের কস্টিউম ডিজাইনার ছিলেন তিনি। ১৯৯৯ সালে রুদালি সিনেমায় কস্টিউম ডিজাইন করে জাতীয় পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছিলেন তিনি।
পরবর্তীকালে ‘রোক শাকো তো রোক লো’, ‘শহীদ ‘ , ‘চাচি ৪২০’, ‘ডর,’ ‘জান, ‘ইনসাফ, ‘দ্য হিরো লাভ স্টোরি অফ এ স্পাই’ সহ বেশ কয়েকটি নামি সিনেমায় কস্টিউম ডিজাইনার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন তিনি। সিনেমায় তিনি পরিচিতি লাভ করতে পারেননি ঠিকই কিন্তু তিনি নিজের ভালোবাসাকে নিজের পেশা করে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন।
একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, আমি আমার দিদির মত কখনোই বড় নায়িকা হতে পারিনি কারণ ক্যামেরার সামনে আমি স্বাচ্ছন্দ বোধ করিনি। ব্যক্তিগত জীবনে জামাইবাবুকে আমি আগে থেকেই চিনতাম তাই আমি ভেবেছিলাম খুব সহজ হবে একসঙ্গে পর্দায় অভিনয় করা, কিন্তু পরে অনুভব করলাম তিনিও আমার কাছে আসতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না। ভুলগুলো ধরিয়ে দিতে কুণ্ঠাবোধ করছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালে রাজেন্দ্র সিং শেট্টির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন সিম্পল কাপাডিয়া। এক পুত্র সন্তান করণ কাপাডিয়াকে জন্ম দিয়েছিলেন সিম্পল। প্রথম দিকে এই বিয়ে ভীষণ সফল হলেও পরবর্তীকালে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় সিম্পল এবং তার স্বামীর। অবশেষে ২০০৯ সালে মাত্র ৫১ বছর বয়সে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়ে দেন সিম্পল।
No comments:
Post a Comment