দুগ্ধ ব্যবসায় বাম্পার লাভ দেয় এই জাতের মহিষ
রিয়া ঘোষ, ১৪ নভেম্বর : ভারতে দুগ্ধজাত পণ্যের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার দেখে দুগ্ধ ব্যবসার প্রতি মানুষের ঝোঁক দ্রুত বেড়েছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে এই ব্যবসার প্রসার ঘটছে। যার মাধ্যমে কৃষকরা ভালো আয় করছেন। এমন পরিস্থিতিতে, আপনিও যদি পশুপালনের ক্ষেত্রে যোগ দিতে চান এবং দুগ্ধ ব্যবসার মাধ্যমে ভাল আয় করতে চান, তবে এই খবরটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। এই খবরে, মহিষের একটি জাত সম্পর্কে জানুন যা দুগ্ধ ব্যবসার জন্য খুব ভাল হিসাবে বিবেচিত হয়।
এই জাতটি কালাহান্ডি এবং অন্ধ্রপ্রদেশে পেদাকিমেডি নামে পরিচিত। ওডিশার কালাহান্ডি এবং রায়গড় জেলা থেকে এই মহিষের উৎপত্তি। এই কারণেই এর নামও রাখা হয়েছে কালাহান্ডি। এসব মহিষ প্রধানত এসব এলাকায় পাওয়া যায়। তবে, অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব পাহাড়ি এলাকায় তাদের দেখা যায়। এদের রঙ ধূসর থেকে গাঢ় ধূসর। এদের কপাল চ্যাপ্টা, লেজের রঙ কালো। এর কুঁজ ছোট এবং আকৃতিতে কিছুটা গোলাকার। দুধ উৎপাদন ক্ষমতার কথা বললে, এই মহিষের এক বাছুতে ৬৮০-৯০০ লিটার দুধ দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। এই জাতের মহিষ স্বাভাবিক গরম ও ঠান্ডা সহ্য করতেও সক্ষম।
কালাহান্ডি মহিষের দাম
কালাহান্ডি মহিষের উচ্চ দুধ উৎপাদন ক্ষমতার কারণে এটি উন্নত জাতের মহিষের মধ্যে গণ্য হয়। এমতাবস্থায়, আপনিও যদি এই মহিষকে উপার্জনের মাধ্যম বানাতে চান, তাহলে সবার আগে জেনে নিন এর পরিচয়, দাম ও বিশেষত্ব। বাজারে এই জাতের মহিষের দাম ২৫ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকার মধ্যে।
কালাহান্ডি মহিষের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য
কালাহান্ডি জাতের মহিষ সাধারণত ওডিশায় পাওয়া যায়।
এই জাতের মহিষের কপাল চ্যাপ্টা ও উঁচু হয়। কপালে ছোট চুলও আছে।
এদের রঙ ধূসর থেকে গাঢ় ধূসর। যদিও তারা আকারে মাঝারি।
এই জাতটি এক স্তন্যদানে গড়ে ৬৮০-৯০০ লিটার দুধ দেয়।
দুধ ছাড়াও এই জাতের মহিষ বোঝা বহনের কাজেও ব্যবহৃত হয়।
কালাহান্ডি মহিষের শিংও ব্যবহার করা হয়। তাদের শিং থেকে গৃহস্থালীর জিনিসপত্র তৈরি করা হয়।
মহিষের এই জাতটি তার স্থানীয় এলাকায় কাজ করার ক্ষমতা এবং রোগ নিরাময়ের ক্ষমতার জন্য পরিচিত।
এছাড়াও ডোজ মনোযোগ দিন
এ জাতের মহিষের প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার লাগে। এরা সাধারণত শুঁটকি ও শুকনো খাবার পছন্দ করে। এনার্জি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন এ ইত্যাদি সমৃদ্ধ খাবার তাদের খাবারে অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি তাদের শস্য, তেল বীজ কেক এবং ধাতুযুক্ত খাবার দিতে পারেন। তাদের ভুট্টা/গম/যব/ওট/বাজরার খাদ্যও দেওয়া যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment