ইসরায়েলকে ধাক্কা কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর! রেগে গেলেন নেতানিয়াহু
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১৫ নভেম্বর : হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধ সর্বনাশ করেছে। এ যুদ্ধে বহু নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছে। যার মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। যুদ্ধের সময় এমন অনেক ছবি প্রকাশ্যে এসেছে যা যে কারওরই মন গলিয়ে দেবে। এদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর একটি বড় বক্তব্য বেরিয়ে এসেছে। গাজায় নারী ও শিশু খুন জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছেন ট্রুডো। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব এই বর্বরতা বন্ধের দাবী জানান।
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, "গাজায় যে কোনও মৃত্যুর জন্য ইসরায়েল নয়, হামাস দায়ী। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু তার বিবৃতিতে ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার কথা উল্লেখ করেন।" তিনি বলেন, হামাসের হামলায় ১,২০০ ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া সাইট এক্স (ট্যুইটার) এ একটি পোস্ট শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন যে, "হামাস, ইসরায়েল নয়, গাজার জনগণকে টার্গেট করছে। হামাস ইহুদিদের নির্মমভাবে খুন করেছে, শিরশ্ছেদ করেছে, পুড়িয়ে দিয়েছে এবং বেসামরিক মানুষকে খুন করেছে।" ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ইসরায়েলকে দায়ী করা ভুল। এর সাথে তিনি বলেছেন যে ইসরায়েল বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সম্ভাব্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে, অন্যদিকে হামাস তাদের রক্ষা করছে। তিনি আরও বলেন, হামাসকে নির্মূলে সমর্থন দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরাইল গাজার জনগণকে সাহায্য করছে। তাদের নিরাপদ স্থানের ব্যবস্থা করলেও হামাস সন্ত্রাসীরা বন্দুকের মুখে নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে যেতে বাধা দেয়। তিনি বলেন, "হামাস বেসামরিক নাগরিকদের আড়ালে লুকিয়ে তাদের লক্ষ্যবস্তু করছে। এমতাবস্থায় গণহত্যার জন্য হামাসকে দায়ী করা উচিৎ, ইসরাইল নয়।"
হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে চলমান এই যুদ্ধে গাজায় প্রায় ১১ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং প্রায় ১৫ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে। শহরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, জল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, মানুষ প্রতিটি ফোঁটা জলের জন্য আকুল।শিশুরা ক্ষুধায় কাঁদছে। হাসপাতালগুলোর অবস্থা খারাপ থেকে খারাপের দিকে যাচ্ছে, যেখানে জ্বালানির অভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে। ইনকিউবেটরগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, এরপর নবজাতক শিশুদের উষ্ণ রাখতে একসঙ্গে রাখা হচ্ছে। হাসপাতালগুলোর এসব ছবি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
No comments:
Post a Comment