খাবারেই দূর হবে নাক ডাকার সমস্যা
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৮ নভেম্বর: ঘুমানোর সময় অনেকেরই নাক ডাকার সমস্যা থাকে। এতে করে বিরক্ত হতে পারে আপনার সঙ্গীও। এই সমস্যা অতিরিক্ত পরিমাণে থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এছাড়াও কিছু খাবার খেয়েও নাক ডাকার সমস্যা কমাতে পারেন। এগুলো হল-
অনেক সময় নাক ডাকার কারণ হল ইনফ্ল্যামেশন। এর ফলে আমাদের কন্ঠনালী বা নাকে যথেষ্ট পরিমাণে হাওয়া চলাচলের জায়গা থাকে না। হলুদ অত্যন্ত ক্ষমতাশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি খাবার। এর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কারকুমিন রয়েছে, যা ইনফ্ল্যামেশন কমাতে সাহায্য করে। যেকোনও পানীয়র সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন। তবে মনে রাখবেন, সাপ্লিমেন্ট হিসেবে হলুদ খেলে খুব একটা কাজ হবে না।
খেতে পারেন পেঁয়াজ। এটিকে অনেকেই নাক ডাকার সমস্যার অব্যর্থ ওষুধ হিসেবে মনে করেন। পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি পদার্থ থাকে, যা নেজাল প্যাসেজকে পরিষ্কার রেখে বেশি পরিমাণে হাওয়া চলাচলে সহায়তা করে।
রাতে ঘুমোনোর আগে চায়ের সঙ্গে বা উষ্ণ গরম জলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে জিভের তৃপ্তির পাশাপাশি নাক ডাকার সমস্যাও কমবে। মধু কণ্ঠনালীকে মসৃণ করে। এর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি দুটি গুণই রয়েছে, যা স্বরনালী পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে।
ল্যাকটোস সেনসিটিভিটি আমাদের অনেকেরই থাকে এবং তা আমাদের অজান্তেই। এই ল্যাকটোস সেনসিটিভিটি গরুর দুধে অনেক বেশি পরিমাণে হয় এবং এ থেকে এলার্জিক প্রতিক্রিয়া হয়। ফলে নেজাল প্যাসেজ স্ফীত হয়ে উঠতে পারে। এর থেকেই নাক ডাকা হয়। এর পাশাপাশি গরুর দুধে থাকে প্রচুর পরিমাণে মিউকাস, যা রেসপিরিটরি সিস্টেমের জন্যও ভালো নয়। তবে, সোয়া মিল্কে এইসব সমস্যা নেই।
চা পান করলেও নাক ডাকার সমস্যা কমতে পারে। চা পানে কনজেশন এবং শ্লেষা কমে। ফলে নাক ডাকা কমে যায়। চা পানির সময় যে বাষ্প নির্গত হয় তা নেজাল মেসেজকে প্রশমিত করে, মিউকাসকে তরল করে। এর ফলে নাক ডাকার সমস্যা উপশম হয়।
No comments:
Post a Comment