নিয়মিত হেডফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফ স্টাইল ডেস্ক,১৮নভেম্বর: আজকাল কাজের ফাঁকে প্রায় সারাদিনই কানে গোঁজা থাকে হেডফোন। হেডফোনের তালে তালে গুণ গুণ করে গান গাইতে গাইতে টুকটাক কাজ সেরে নেয় অনেকেই। কিন্তু এটা কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? চলুন তবে জেনে নেই হেডফোনে সারাক্ষণ গান শুনলে কি ধরণের অসুবিধা হতে পারে:
শ্রুতিপথে বাতাসের বাধা:
আজকাল প্রযুক্তির বাজারে কিছু এয়ারফোনের সাউন্ড কোয়ালিটি ভালো পাওয়া গেলেও তার রয়েছে ব্যাপক স্বাস্থ্য-ঝুঁকি। এসব এয়ারফোন এয়ারক্যানেল পর্যন্ত প্রবেশ করানো হয়। এতে কানের ভিতর বায়ু প্রবেশে বাধার সৃষ্টি করে। যার ফলে ইনফেকশনের সম্ভাবনা আরো বেশি হয়।
শ্রবণে জটিলতা:
হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহারের সময় সে অডিও সরাসরি আপনার কানে প্রবেশ করে। ৯০ ডেসিবেল বা তার বেশি মাত্রার শব্দ যদি আপনার কানে গেলে ঘটতে পারে শ্রবণ জটিলতা। এমনকি এজন্য আপনি আপনার শ্রবণ ক্ষমতা হারাতেও পারেন চিরতরে। বিশেষজ্ঞদের মতে ১০০ ডেসিবলের উপরে হেডফোন ব্যাবহার করলে মাত্র ১৫ মিনিটে নষ্ট হতে পারে আপনার শ্রবণশক্তি।
অসচেতনতায় কানের ইনফেকশন:
একটি হেডফোন একজনেরই ব্যবহার করা উচিৎ। কিন্তু আমরা একটি এয়ারফোন একাধিক ব্যক্তি, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করে থাকি। এতে কানে ইনফেকশনের সম্ভাবনা থাকে। কারণ এয়ারফোনের মাধ্যমে কানের মধ্যে থাকা জীবাণু একজন থেকে অন্যজনে বাহিত হয়। তাই এয়ারফোন কখনোই শেয়ার করা উচিত নয়। করলে অবশ্যই ব্যবহারের পূর্বে জীবাণুনাশক ব্যবহার করে নেবেন।
শ্রবণ শক্তির জড়তা:
কিছু সমীক্ষায় জানা যায়, যারা এয়ারফোন ব্যবহার করে উচ্চ শব্দে মিউজিক শোনেন তাদের কানে জড়তা চলে আসে। এই জড়তা স্বাভাবিক হলেও দীর্ঘ সময় উচ্চস্বরে মিউজিক বাজালে শ্রবণশক্তিও হারাতে পারেন।
কানে ব্যথা:
যারা দিনের বেশিরভাগ সময় হেডফোন ব্যবহার করেন তারা সাধারণত এর সমস্যায় ভুগেন। মাঝে মাঝে কানের ভেতরে ঝিম ধরা আওয়াজ হয়ে থাকে। এটিও কিন্তু কানের মারাত্মক ক্ষতির উপসর্গ।
মস্তিষ্কের ওপর বিরূপ প্রভাব:
হেডফোনের দ্বারা সৃষ্ট ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক তরঙ্গ আপনার মস্তিষ্কের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। আর ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহারে এর ঝুঁকি রয়েছে শীর্ষে। কান সরাসরি মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত। তাই হেডফোন সরাসরি আপনার মস্তিষ্কতে আঘাত হানতে পারে।
No comments:
Post a Comment