মায়ের ভোগে থাকে তিস্তার মহাশোল-বোয়াল! ৩০০ বছরের প্রাচীন পুজো দেবী চৌধুরানীর শ্মশান কালী মন্দিরে
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১০ নভেম্বর: জলপাইগুড়ি জেলার প্রাচীন কালী মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম দেবী চৌধুরানীর শ্মশান কালী মন্দির। জলপাইগুড়ি শহরে ঢোকার আগে জাতীয় সড়কের পাশে গোশালা মোড়ে মাড়োয়ারি শ্মশান লাগোয়া দেবী চৌধুরানীর এই শ্মশান কালী মন্দির।
পুরাণে মা কালীর যে বর্ণনা পাওয়া যায়, তাতে তাঁর চার হাত। সেই চার হাতে রয়েছে খড়গ, ছিন্নমুণ্ড, বরদান ও অভয়মুদ্রা। কিন্তু এই মন্দিরের শ্মশান কালী মায়ের রয়েছে মাত্র দুটি হাত একটিতে সুরার বাটি অন্যটিতে ছিন্ন মুণ্ড। সারা বছর নিয়ম করে পুজো হলেও দীপান্বিতা অমাবস্যা তিথিতে জাঁকজমকের সঙ্গে মা পূজিতা হন। স্থানীয়দের দ্বারাই মূলত পরিচালিত হয়ে আসছে এই মন্দিরের কালী পুজো।
জানা গিয়েছে,এই মন্দির প্রায় ৩০০ বছর পুরোনো। তেমনভাবে সংস্কার না হলেও পরিবর্তন হয়নি। এখানে শিব চতুর্দশীর দিনও উপচে পড়ে ভিড়। ৩০০ বছরের পুরনো বটগাছের নীচেই রয়েছে শিবলিঙ্গ। তাতে জল ঢালতে দূর দূরান্তের মানুষ আসেন। তবে, আপাতত কালী পুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে। সারা রাত চলে কালী পুজো। আর ভোগ হিসেবে দেওয়া হয়ে থাকে তিস্তার মহাশোল ও বোয়াল মাছ। পাশাপাশি রীতি মেনে এখনও চলছে পাঁঠা বলি।
পুজো প্রসঙ্গে মন্দিরের পুরোহিত সুভাষ চৌধুরী বলেন, মানুষজন যেটুকু আর্থিক সাহায্য করে, তা দিয়েই মন্দির পরিচালনা করা হয়। প্রতি বছরই কালী পুজোর দিন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন এসে ভিড় করেন এই মন্দিরে। আশা করা হচ্ছে এই বছরও তার অন্যথা হবে না।
মন্দিরে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী বলেন, বহু ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে জলপাইগুড়ির দেবী চৌধুরানী শ্মশান কালী মন্দির ঘিরে। এখানকার পরিবেশ বেশ গা ছম ছমে। এত বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও সেই পরিবেশ এখনও রয়েছে। মা শ্মশান-কালীর এই মন্দির জাগ্রত বলে দূরদূরান্তের মানুষ এখনও ছুটে আসে এই মন্দিরের মা কালীকে দর্শন করতে।
No comments:
Post a Comment