পাকিস্তানের ন্যক্কারজনক কাজ, মন্দির ভেঙে তৈরি হচ্ছে কফি হাউস
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৮ নভেম্বর: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) পাকিস্তান তাদের ঘৃণ্য কার্যকলাপ থেকে বিরত হচ্ছে না। সেখানে বসবাসরত কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওপর অত্যাচারের খবর প্রায় প্রতিদিনই সামনে আসছে। এখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পিওকেতে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রধান তীর্থস্থান শারদা পীঠ মন্দিরের প্রাচীর ভেঙে দিয়েছে। প্রাচীর ভেঙ্গে এখন সেখানে একটি কফিশপ তৈরি করা হয়েছে। হিন্দু ধর্মে এই মন্দিরের গুরুত্ব অপরিসীম।
হিংলাজ মাতার মন্দির শুধু ভারতে নয় সারা বিশ্বে বিখ্যাত। এই মন্দিরটিকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যার প্রাচীর ভেঙে এখানে একটি কফি হাউস তৈরি করা হচ্ছে। এ নিয়ে কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক প্রতিবাদ চলছে। পিওকে-র সুশীল সমাজও মন্দির ভাঙার প্রতিবাদ করেছে। এই পুরো ঘটনার একটি ভিডিওও সামনে এসেছে যাতে পাকিস্তানি সেনাদের কফি হাউস তৈরি করতে দেখা যায়।
এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তও এসেছিল, কিন্তু তা সত্ত্বেও মন্দির ভেঙে ফেলা হয়। বলা হচ্ছে এই বছরের নভেম্বরে এই নতুন কফি হাউসের উদ্বোধন হতে চলেছে। এসব ঘটনা দেশে হিন্দুদের ওপর চলমান নিপীড়নের কথা তুলে ধরে। ১৯৪৭ সালের পর প্রথম, কাশ্মীরের টিটওয়ালের শারদা মাতার মন্দিরে দীপাবলি পূজা করা হয়েছিল। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কাশ্মীরের এলওসি (LOC)-এর কাছে মাতা শারদা দেবী মন্দিরের উদ্বোধন করেছিলেন।
শারদা পীঠ হল দেবী সরস্বতীর একটি প্রাচীন মন্দির, যা পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের শারদার কাছে কিষাণগঙ্গা নদীর (নীলম নদী) তীরে অবস্থিত। তবে, এই মন্দিরের ওপর ভারতের অধিকার রয়েছে। শারদা পীঠ মন্দিরটি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বিশ্বাসের প্রতীক ছিল, কিন্তু এই মন্দিরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে যায়। মন্দিরটিকে অন্যতম প্রধান শক্তিপীঠ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
No comments:
Post a Comment