মস্তিষ্কের রোগ মেনিনজাইটিস
প্রেসকার্ড নিউজ,হেল্থ ডেস্ক,২০ নভেম্বর: মেনিনজাইটিস মস্তিষ্কের একটি রোগ।এটা মনের উপরও প্রভাব ফেলে।মেনিনজাইটিসে তরল এবং ঝিল্লি মস্তিষ্কের পাশাপাশি মেরুদণ্ডের কর্ডকেও ঘিরে থাকে।
এই ঝিল্লিগুলিকে মেনিঞ্জেস বলা হয়।মেনিনজাইটিসের প্রদাহ সাধারণত মাথাব্যথা,জ্বর এবং ঘাড় শক্ত করে।কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল এটা কিভাবে শুরু হয়।আজ আমরা জানব এ থেকে বাঁচার সমাধান কী।
ব্যাকটেরিয়াজনিত মেনিনজাইটিসে ব্যাকটেরিয়া রক্ত প্রবাহে প্রবেশ করে এবং মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডে পৌঁছায়। ব্যাকটেরিয়াজনিত মেনিনজাইটিসের অনেক কারণ রয়েছে।এটি ব্যাকটেরিয়াজনিত সাইনাস এবং নিউমোনিয়াও হতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী মেনিনজাইটিস দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে থাকে। মাইকোব্যাকটেরিয়াম যক্ষ্মা ধীরে ধীরে পুরো শরীরকে সংক্রমিত করে।এটি মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের চারপাশের ঝিল্লিকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে।দীর্ঘস্থায়ী মেনিনজাইটিস বিকাশ হতে দুই সপ্তাহ বা তার বেশি সময় লাগতে পারে। এছাড়াও,এটি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দ্বারাও হতে পারে এবং তারপর মস্তিষ্কে পৌঁছাতে পারে।মেনিনজাইটিসের অনেক কারণ থাকতে পারে।হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস,এইচআইভি,মাম্পস ভাইরাস,ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস মেনিনজাইটিস ভ্রূণের মধ্য দিয়ে যেতে পারে যখন শিশু মায়ের গর্ভে থাকে এবং সঠিকভাবে যত্ন না নিলে।
মেনিনজাইটিসের কারণে শরীরে নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে থাকে।যেমন- উচ্চ জ্বর,মস্তিষ্কের সংক্রমণ।এছাড়া মেরুদণ্ডে ফোলাভাব,মাথাব্যথা,গলা ব্যথা,বমি,খিঁচুনি, ক্ষুধামান্দ্যসহ নানা উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে।
মেনিনজাইটিস এড়াতে,পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ মনোযোগ দিন।যেমন হাত ধোয়া,কাশি ও হাঁচির সময় মুখ ঢেকে রাখা ইত্যাদি।আপনার মুখের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস না যায় সেই ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।কাশি,হাঁচি,চুম্বন বা খাওয়ার পাত্র,টুথব্রাশ বা সিগারেট খাওয়ার কারণেও মেনিনজাইটিস হতে পারে।ছোট শিশুদের অবশ্যই এর বিরুদ্ধে টিকা দিতে হবে।
No comments:
Post a Comment