বোমা হামলায় মৃত্যু হল পঞ্চায়েত প্রধানের
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ১৬ নভেম্বর: বোমা হামলায় মৃত্যু হল পঞ্চায়েত প্রধানের। আমডাঙ্গা পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন মৃত রুপচাঁদ মণ্ডল। বৃহস্পতিবার রাত সাতটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে আমডাঙ্গা থানার কামদেবপুর বাজার এলাকায়। ঘটনার পর হামলার প্রতিবাদে তৃণমূল কর্মী ও স্থানীয়রা ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এদিন সন্ধ্যায় আমডাঙ্গার কামদেবপুর বাজার এলাকায় হাট চলছিল। সেখানকার এক ক্লাবে পরিচিতদের সঙ্গে বলে গল্প করছিলেন আমডাঙ্গা গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান রুপচাঁদ মণ্ডল। ওই সময় তাঁর কাছে ফোন এলে উঠে রাস্তার উল্টোদিকে যান। তখনই হঠাৎ এক দল দুষ্কৃতী পিছন থেকে রুপচাঁদকে লক্ষ্য করে কয়েকটি বোমা ছোঁড়ে। বোমার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গলা সংলগ্ন তার ডান হাত। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে আমডাঙ্গা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় বারাসতের এক নার্সিংহোমে আনা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
বারাসত জেলা পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তৃণমূল সূত্রের দাবী, রুপচাঁদকে পঞ্চায়েত প্রধান করাকে ঘিরে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। হামলার সঙ্গে ওই ঘটনার কোনও যোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখুক পুলিশ। পুলিশের দাবী, তদন্ত শুরু হয়েছে। হামলার নেপথ্যে কারা তা দুষ্কৃতীদের ধরলে জানা যাবে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।
ঘটনার পর ঘটনাস্থলে হাজির হন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং ও স্থানীয় বিধায়ক রফিকার রহমান। ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, "কারা হামলা করেছে তদন্ত না করে বলা কঠিন। আমরা ও পুলিশ খোঁজ নিচ্ছি। রাজনীতি করলে শত্রু থাকবে। তবে এই হামলা ঠিক নয়। তদন্ত না করে বলা কঠিন।"
আমডাঙার বিধায়ক রফিকার রহমান বলেন, "বাজার সংলগ্ন ক্লাবের সামনে বসেছিল। ওর কাছে একটা ফোন আসে। রাস্তার উল্টোদিকে যেতেই বোমা হামলা হয়। কারা করেছে পুলিশ বের করুক। দলে কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই।"
No comments:
Post a Comment