ডিম বেশি দেয় এমন মুরগি যেভাবে চিনবেন!
রিয়া ঘোষ, ২৬ নভেম্বর : ডিম উৎপাদনে বর্তমানে পোল্ট্রি শিল্প খুবই লাভজনক। তাই বেশি ডিম পাড়ার মুরগির আচরণ ও অন্যান্য লক্ষণ সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মুরগির শরীরের অবস্থা তার শরীরের বিভিন্ন অংশ এবং তার আচরণ দ্বারা বিচার করা যেতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে বেশি ডিম দেয় এমন মুরগি চিনবেন।
মাথা: যে মুরগি বেশি ডিম দেয় তার মাথা হবে ছোট, হালকা এবং মাংস কম। মাথার ক্রেস্ট এবং ঘাড়ের ন্যাপ উজ্জ্বল লাল বা গোলাপী রঙের হবে। তবে তারা নরম, দৃঢ় এবং ফুসকুড়ি হবে।
চোখ, নাক এবং মুখ: মুরগির চোখের রঙ উজ্জ্বল হবে। চোখ সব সময় সজাগ থাকবে। শ্লেষ্মা ছাড়া নাক ও মুখ পরিষ্কার হবে। নাক দিয়ে জল পড়া বা গলা ব্যথা হবে না।
দেহ : মুরগির শরীর ভালোভাবে তৈরি হবে। প্রচুর খাবার খাওয়ান এবং জল পান করান, যাতে পেট ভরে যায়। আপনি যদি পেটে ডিম অনুভব করেন তবে ওজন অবশ্যই ভারী হবে। এ ধরনের মুরগির পিঠ লম্বা ও চওড়া হয়। শরীরের কোনও অংশে কোনও ত্রুটি, অপূর্ণতা বা বিকৃতি থাকবে না।
বয়স : মুরগির বয়স বাড়ার সাথে সাথে ডিম উৎপাদনের হার তুলনামূলকভাবে কমে যায়। সাধারণত, ৫৬০ দিন বয়সের মধ্যে, মুরগি মোট ডিম উৎপাদনের প্রায় ৬০% দেয়। তাই খাবারের জন্য পুরানো মুরগি বিক্রি করে নতুন মুরগি পালন করতে হবে।
মলদ্বার এবং নিতম্ব: মুরগির মলদ্বার প্রশস্ত এবং ডিম্বাকৃতি হতে হবে। পরীক্ষায় এটি আর্দ্র এবং রক্তাক্ত দেখাবে। মলদ্বারের দুপাশে ধড়ফড় করে নিতম্বের হাড় অনুভব করা যায়। উৎপাদনশীল মুরগির দুটি হাড়ের মধ্যে দূরত্ব হবে দুই ইঞ্চি।
তলপেট: মুরগির পেটে স্পর্শ করলে ডিম ধারণের ক্ষমতা বোঝা যায়। ডিম পাড়ার সময় পেট চওড়া ও নরম থাকে। মুরগি যখন শুয়ে থাকে তখন স্তনের হাড়ের নিচের অংশ এবং দুই লেজের হাড়ের মাথার দূরত্ব দুই ইঞ্চি। মুরগির পেটে চর্বি থাকবে না এবং ডিম চাপলে পেটের ভিতরে অনুভূত হবে।
আচার-আচরণ: বেশি ডিম পাড়া মুরগির আচরণ হবে সজাগ, কোমল ও কৌতুকপূর্ণ। ডিম পাড়ার সময় ঘরে ঢুকবে, খালি বসে থাকবে না। ডিম পাড়া মুরগির পিঠে হাত দিলে সহজেই বসবে।
No comments:
Post a Comment