'হিন্দুরাই গরু কাটার জন্য পাঠায়', দুঃখপ্রকাশ আরএসএস প্রধানের - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, 29 November 2023

'হিন্দুরাই গরু কাটার জন্য পাঠায়', দুঃখপ্রকাশ আরএসএস প্রধানের

 


'হিন্দুরাই গরু কাটার জন্য পাঠায়', দুঃখপ্রকাশ আরএসএস প্রধানের 



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৯ নভেম্বর: গোহত্যা নিয়ে বড়সড় বিবৃতি দিয়েছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। এক অনুষ্ঠানে মোহন ভাগবত বলেন যে, হিন্দুরাই গরু কাটার জন্য কসাই পাঠায়। অনুষ্ঠান চলাকালীন আরএসএস প্রধান সকলকে গরুর সেবা করার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, গরু বিশ্বের সব সমস্যার সমাধান।


মোহন ভাগবত গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের মথুরার ফারাহ এলাকায় দীনদয়াল কামধেনু গৌশালা সমিতির একটি অনুষ্ঠানে যান। অনুষ্ঠানে গরুর দশা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে ভাগবত বলেন, “এটা বলা হয় যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গরু রয়েছে। গরু কাটা হয়, কিন্তু প্রশ্ন হল কে পাঠায় সেখানে? এই গরু হিন্দুদের বাড়ি থেকে সেখানে পৌঁছায় এবং এগুলো বহনকারীরাও হিন্দু।”


এখানেই থেমে থাকেননি মোহন ভাগবত। তিনি আরও একটি প্রশ্ন তুলেছেন। মোহন ভাগবত বলেন, “আমরা গরুকে মা বলি কিন্তু গরু কাটার জন্য পাঠানো কি ছেলের কর্তব্য? গরুকে কাটার জন্য পাঠানো মোটেও ঠিক নয়।"  তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানান, আমরা গরুর সেবা করব আর তাদের এভাবে যেতে দেব না।


মোহন ভাগবত বলেন, 'আমরা সর্বদা গরু আমাদের সাথে রাখব, মৃত্যুর পরে এর শিংও আমাদের কাজে আসে এবং এর চামড়াও আমাদের কাজে আসে।' সরসঙ্ঘচালক বলেন, 'গরু মারা যাওয়ার পরও যদি আমাদের সেবা করে, তাহলে আমরা কেন বেঁচে থাকতে পারি না!' সংঘ প্রধান বলেন, 'আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে গরু সম্পর্কে জানতে পেরেছি, যারা তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে এই জ্ঞান অর্জন করেছিলেন, কিন্তু এখন বিশ্বকে জানাতে, আমাদের তাদের নিজস্ব ভাষায় গরু সম্পর্কে অর্জিত জ্ঞান জানাতে হবে। 


মোহন ভাগবত বলেন, “দীনদয়াল গো-বিজ্ঞান, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ একই কাজ করবে, এটি গরু সম্পর্কে অনেক ধরণের প্রামাণিক গবেষণা সংগ্রহ করবে।" ভাগবত শেষে বলেন, “যেভাবে বাড়িতে অভাব হলে আমরা আমাদের বাবা-মাকে বাইরে পাঠাই না, আমরা প্রথমে তাদের খাওয়াই এবং তারপর নিজেরা খাবার খাই, ঠিক একইভাবে আমাদের গরুরও সেবা করতে হবে। আমরা যদি গরুকে মা ডাকি, তাহলে ছেলের কর্তব্যও পালন করতেই হবে ।'


প্রসঙ্গত, গৌশালা সমিতি ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে দীনদয়াল গো-বিজ্ঞান, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করেছে।  এর প্রথম পর্যায়ে প্রশাসনিক ভবন, শ্রেণীকক্ষ এবং বায়োগ্যাস জেনারেটরে চালিত একটি তাঁত কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এই কেন্দ্রের উদ্বোধনের জন্য মথুরায় যান সরসঙ্ঘচালক।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad