আমেরিকায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দুর্ব্যবহার! মারধরের চেষ্টা
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৭ নভেম্বর : আমেরিকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত তারানজিৎ সিং সান্ধুকে মারধরের চেষ্টা করেছে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। ঘটনাটি ঘটেছে নিউইয়র্কের হিকসভিল গুরুদ্বারে। নিষিদ্ধ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন শিখ ফর জাস্টিসের সঙ্গে যুক্ত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সিংকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করে। তারা সবাই হরদীপ সিং নিজ্জার খুন এবং গুরপতবন্ত সিং পান্নুকে খুনের চেষ্টার জন্য ক্ষুব্ধ। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এই দুটি ঘটনার জন্য ভারতকে দায়ী করছিল এবং ভারতীয় কূটনীতিকের কাছে জবাব চাইছিল। তবে এই ঘটনার পরই সান্ধু গুরুদ্বার ছেড়ে চলে যান।
সম্প্রতি পান্নুকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে কিছু প্রতিবেদনে ভারতকে সতর্ক করেছিল আমেরিকা। তবে এ বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এদিকে চলতি বছরের জুন মাসে কানাডায় খুন হন খালিস্তান সমর্থক হরদীপ সিং নিজ্জার। পরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজ্জার খুনের মামলায় ভারতের সম্পৃক্ততার কথা বলেন। ভারত সরকার কানাডা সরকারের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছে।
বিজেপি নেতা মনজিন্দর সিং সিরসার প্রতিক্রিয়া
রাষ্ট্রদূত সান্ধুর সঙ্গে ঝগড়ার খবরে বিজেপি নেতা মনজিন্দর সিং সিরসার প্রতিক্রিয়া এসেছে। সিরসা বলেছেন, 'ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের বাবা তেজা সিং সমুদ্রী স্বাধীনতার আগে গুরুদ্বারের জন্য 'কী ফ্রন্ট' লড়াই করেছিলেন। তাদের সাথে এ ধরনের দুর্ব্যবহার মোটেও উপযুক্ত নয় এবং আমি এর নিন্দা জানাই।'
গুরপতবন্ত সিং পান্নু পাঞ্জাবে শিখদের জন্য আলাদা রাজ্যের সমর্থক। তিনি শিখস ফর জাস্টিস (এসএফজে) এর মুখপাত্র যিনি খালিস্তানের একটি স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র দাবী করে। পান্নু পাঞ্জাবের অমৃতসরের উপকণ্ঠে খানকোটের বাসিন্দা। বাবা মহিন্দর সিং পাঞ্জাব স্টেট এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং বোর্ডে কাজ করতেন। মায়ের নাম অমরজিত কৌর। পান্নুরও একটি ভাই আছে যার নাম মাগবন্ত সিং পান্নু। ২০২০ সালে ভারত সরকার তাকে সন্ত্রাসী ঘোষণা করে।
দূতাবাসে হামলা হয়েছে
আমেরিকায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এখন ঘটলেও এর আগে ভারতীয় দূতাবাসেও হামলা হয়েছে। চলতি বছরের মার্চ ও জুলাই মাসে সান ফ্রান্সিসকোতে ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালায় খালিস্তানি সমর্থকরা। এমনকি মার্চে দূতাবাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে ভারত ও আমেরিকার সরকার ঘটনার নিন্দা করে এবং হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে।
No comments:
Post a Comment