বিদেশী শিশুর প্রাণ বাঁচাল সুপ্রিম কোর্ট! লিভার দান করতে পারবে ভারতীয় আত্মীয়
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৪ নভেম্বর : তিন বছর বয়সী আমেরিকান শিশুকে লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য তার ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাজিনকে অঙ্গ দান করার অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত আরও বলেছে যে এই মামলায় আইনি বাধ্যবাধকতাগুলি পুরোপুরি বিবেচনা করার প্রয়োজন বোধ করে না। এ মামলায় তার সিদ্ধান্ত অন্য কোনও মামলায় নজির হিসেবে নেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
শীর্ষ আদালত 'ডিকম্পেনসেটেড বিলিয়ারি সিরোসিস' (ডিবিসি) এর চিকিৎসার জন্য গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া একটি শিশুর জীবন বাঁচাতে অগ্রাধিকার দিয়েছে। ডিবিসি হল লিভারের ব্যর্থতার কারণে সৃষ্ট একটি অবস্থা যেখানে রোগীকে শুধুমাত্র প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে বাঁচানো যায়।
বিচারপতি এ এস বোপান্না এবং এম এম সুন্দরেশের একটি বেঞ্চকে তার দূরবর্তী ভারতীয় আত্মীয়ের দ্বারা শিশুর লিভার দান করতে সক্ষম হওয়ার পথে মানব অঙ্গ ও টিস্যু আইন প্রতিস্থাপনের ধারা ৯ এর আকারে একটি আইনি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছিল।
আইনের উল্লিখিত ধারাটি এমন ক্ষেত্রে অঙ্গ দান নিষিদ্ধ করে যেখানে প্রাপক একজন বিদেশী এবং দাতা 'ঘনিষ্ঠ আত্মীয়' নন। নিকটাত্মীয়দের মধ্যে রয়েছে স্বামী-স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, বাবা, মা, ভাই, বোন, দাদু-ঠাকুমা, নাতি বা নাতনি এবং কাজিন বা অন্য দূরের সম্পর্কযুক্ত ভাইবোন এতে অন্তর্ভুক্ত নয়।
শীর্ষ আদালত অঙ্গ প্রাপক এবং অঙ্গ দাতা আবেদনকারীদের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী গোপাল শঙ্করানারায়ণন এবং আইনজীবী নেহা রথীর যুক্তিগুলি আমলে নিয়েছে। বেঞ্চ গত ৯ নভেম্বর তার নির্দেশে মামলার বিবরণ এবং ওই আইনের অধীনে কাজ করা কমিটির রিপোর্ট আমলে নেয়। এই কমিটি অঙ্গ দান অনুমোদন করে যদি দাতা এবং গ্রহীতা রোগী বিধিবদ্ধ প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে।
শিশুটির স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় জরুরী লিভার ট্রান্সপ্লান্টের প্রয়োজন ছিল এই বিষয়টিকে সর্বোচ্চ আদালত নোট করেছে। এক্ষেত্রে শিশুটির বাবা-মা অঙ্গদানের উপযুক্ত না হলে কাকাতো ভাই অঙ্গ দান করার প্রস্তাব দিলেও ওই আইনের ৯ ধারা বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
No comments:
Post a Comment