রাতের খাবার খান সময়মতো
প্রেসকার্ড নিউজ,হেল্থ ডেস্ক,৮ নভেম্বর: আজকের ব্যস্ততার বিশ্বে রাতে দেরি করে খাওয়া প্রায় সবার কাছেই একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।এটি যে কারণেই হোক না কেন,দেরিতে খাওয়া স্বাস্থ্যের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।এই অভ্যাসটি দূর করতে এবং আরও ভালো স্বাস্থ্যের প্রচারে সহায়তা করার জন্য কিছু টিপস জেনে নেওয়া যাক।
একটি সুষম ডিনার পরিকল্পনা করুন -
যুক্তিসঙ্গত সময়ে আপনার রাতের খাবারের সময় নির্ধারণ করুন এবং কম চর্বিযুক্ত প্রোটিন,গোটা শস্য ও প্রচুর শাক-সবজি সহ সুষম খাবার বেছে নিন।ভারী,মশলাযুক্ত এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন যা হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করুন -
অতিরিক্ত খাওয়া এড়াতে খাবারের পরিমাণ দেখুন।সীমিত খাবার হজম করা শরীরের পক্ষে সহজ এবং এই অভ্যাস অম্বল ও বদহজমের ঝুঁকি কমায়।
সীমিতভাবে হাইড্রেট করুন নিজেকে -
জল বা ভেষজ চা দিয়ে হাইড্রেটেড থাকুন।তবে শোবার আগে প্রচুর পরিমাণে তরল পান করা এড়িয়ে চলুন।এতে মাঝরাতে ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যেতে পারে।
ঘুমানোর সময় রুটিন তৈরি করুন -
শরীরকে সংকেত দিতে একটি আরামদায়ক শয়নকালের রুটিন স্থাপন করুন যে এটি বিশ্রামের সময়।এর মধ্যে পড়া, উষ্ণ স্নান করা বা ধ্যান অনুশীলনের মতো কার্যকলাপ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
মননশীল স্ন্যাকিং -
যদি সন্ধ্যায় স্ন্যাক্স খাওয়ার প্রয়োজন অনুভব করেন তবে তাজা ফল,বাদাম বা দইয়ের মতো স্বাস্থ্যকর বিকল্পগুলি বেছে নিন।চিনিযুক্ত,প্রক্রিয়াজাত স্ন্যাক্স এড়িয়ে চলুন।
পরিশেষে,দেরিতে খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে,ওজন বৃদ্ধি এবং ঘুমের ব্যাঘাত থেকে হজমের সমস্যা এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধিও করতে পারে। উপযুক্ত সময়ে খাবার খাওয়া এবং স্বাস্থ্যকর খাবার পছন্দ করার সচেতন প্রচেষ্টা করার মাধ্যমে,আপনি আপনার স্বাস্থ্য রক্ষা করতে এবং সামগ্রিক জীবনের মান উন্নত করতে পারেন।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment