কাকভোরে শুটআউট, মসজিদে যাওয়ার পথে খুন তৃণমূল নেতা
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কালী পুজোর পরের দিনই রাজ্যে চলল গুলি। দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন জয়নগরের তৃণমূল নেতা। সোমবার ভোরে মসজিদে যাওয়ার পথে দুষ্কৃতীরা তাঁকে আক্রমণ করে, এক রাউন্ড গুলি চালায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও লাভ হয়নি, চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বামনগাছি এলাকার। মৃতের নাম সইফুদ্দিন লস্কর, বয়স ৪৩।
সাইফুদ্দিন বামুনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির পদও তিনি সামলাতেন। তাঁর স্ত্রী বামনগাছি পঞ্চায়েতের প্রধান। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ভোর পাঁচটা নাগাদ মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন সইফুদ্দিন। পথেই তাকে একদল দুষ্কৃতী ঘিরে ধরে। এক রাউন্ড গুলি চলে, তাঁর কাঁধে গুলি লাগে। রাস্তাতেই লুটিয়ে পরেন তৃণমূল নেতা।
গুলির শব্দে স্থানীয়দের ঘুম ভাঙলে তারা তড়িঘড়ি ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। রক্তাক্ত অবস্থায় সইফুদ্দিনকে উদ্ধার করে জয়নগর এক নম্বর ব্লকের পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বারুইপুর পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক বিভাস সর্দার। তিনি বলেন, 'নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে সইফুদ্দিন এভাবে খুন হবে, ভাবতে পারছি না। ও মানুষের জন্য কাজ করত। ওঁর শত্রু আছে বলে জানতাম না। কারা কেন এই কাজ করল জানি না। যারাই করেছে তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিৎ।'
এই ঘটনায় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের দাবীও করেন বিধায়ক। তিনি বলেন, 'রাজনীতিতে দেউলিয়া হয়ে তৃণমূল নেতাদের টার্গেট করছে বিরোধীরা।' মৃত তৃণমূলের বাবা ইলিয়াস লস্কর ঘটনায় সিপিএমের দিকে আঙুল তুলেছেন।
বারুইপুরের পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালী জানিয়েছেন, ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কারা এই ঘটনায় জড়িত, এর নেপথ্যে কী উদ্দেশ্য, সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment