৫১,০০০ চিঠি লিখে শাহকে কটাক্ষ তৃণমূল ছাত্র-যুব নেতা-নেত্রীর
কলকাতা: ক্ষমতার চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন করার যে ঐতিহ্য বাংলার রয়েছে, তার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূল যুব কংগ্রেস এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উদ্দেশ্যে ৫১,০০০ চিঠি লিখলেন। সেই সমস্ত চিঠিতে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছে, কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার কেন প্রতিহিংসার বশে বাংলার ন্যায্য পাওনা আটকে রেখেছে। সেইসঙ্গে, দেশের ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব প্রসঙ্গে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। যুব নেতৃত্বের বক্তব্য, অমিত শাহের কলকাতা সফরের সময়েই তাঁর সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্যে এই চিঠিগুলি লেখা হয়েছে।
সারা দেশে বেড়ে চলা বেকারত্ব, ধুঁকতে থাকা ভারতীয় অর্থনীতি এবং বাংলার প্রতি বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিমাতৃসুলভ আচরণ-এই বিষয়গুলিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে মঙ্গলবার রাজ্যের নানা প্রান্তে অসংখ্য যুব সংগঠনের সদস্যদের চিঠি লিখতে দেখা গেল।
এই ধরনের একটি মহৎ উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ চিঠিতে লেখেন, “যখন আপনি সম্ভবত আপনার কর্মীদের এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে আসন্ন দলীয় কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন, তখন সেখানে বাংলার একজন তরুণ ভোটার হিসেবে আমি কিছু জরুরি প্রশ্নের উত্তর চাই। আমি আশা করছি কেন্দ্রীয় সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি হিসাবে আপনি সেই প্রশ্নের উত্তর দেবেন।”
তিনি আরও যোগ করেছেন যে, মোদী সরকারের অধীনে ভারতের বেকারত্বের হার ৪৫ বছরের সর্বোচ্চ ১০%-এ পৌঁছেছে, “ক্রমাগত হয়রানি এবং হাজার হাজার তরুণকে ভারতীয়কে দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছে।”
"আমরা ছাত্র যুব সমাজ, আপনার এবং আপনার সহকর্মীদের বক্তৃতায়, অনেক আশা করেছিলাম, দেশের ছাত্র যুবরাও করেছিল, বছরে দু কোটি বেকারের চাকরি পাবে। প্রচুর ছাত্র যুবরা নির্বাচনে আপনাদের ভোট দিয়েছিল। কিন্তু কথা আপনি রাখেননি” লেখেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য।
ছাত্র ও যুব নেতা-নেত্রীদের অনেকেই জানিয়েছেন, তাঁরা ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের এলাকায় ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনায় বঞ্চিতদের দুর্ভোগের সাক্ষী থেকেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো অর্থসাহায্য এই বঞ্চিতদের জীবনে আশার আলো দেখিয়েছে। এর জন্য তাঁরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।
No comments:
Post a Comment