একটাই জীবন, তাই টাকার পিছনে না ছুটে এনজয় করতে চাই! কেন বললেন রচনা?
জি বাংলার এই রিয়্যালিটি শো সঞ্চালনা করে তিনি বাংলার প্রায় প্রত্যেক ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছেন। আট থেকে আশি- রচনা এখন সবার দিদি। তবে টেলিভিশনে চুটিয়ে কাজ করলেও বহু বছর হয়ে গেল সিনেমায় দেখা নেই তাঁর। তাঁর সমসাময়িক একাধিক শিল্পী এখন আবার মন দিয়েছেন ওয়েব সিরিজের কাজে। সেই মাধ্যম থেকেও মুখ ফিরিয়ে রেখেছেন রচনা। কিন্তু কেন? এবার জানালেন তিনি নিজেই।
দিদি নম্বর ১-এ এদিন খেলতে এসেছিলেন মানসী সিনহা, তনুকা চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণী মণ্ডলের মতো জনপ্রিয় অভিনেত্রীরা। সেখানেই কথার ফাঁকে রচনা জানান, তিনি কেন বাকিদের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করছেন না। ‘দিদি নম্বর ১ সঞ্চালিকার কথা শুনে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন অনেকেই।
রচনা বলেন, শরীর যতদিন আছে, ততদিন কাজ আছে। তবে কোনও একটা জায়গায় আমার লাইন টানতে হবে। চাওয়া পাওয়ার কোনও শেষ হয় না। আমি আজ চাইলেই দিদি নম্বর ওয়ানের পর দশটা ওয়েব সিরিজের কাজ করতে পারি। তবে আমি জানি সেই লাইনটা আমায় কোথায় টানতে হবে। আমার কাছে জীবনে কিছু জিনিসের প্রাধান্য ভীষণ বেশি।
এখানেই থামেননি রচনা, দিদি নম্বর ১ সঞ্চালিকা আরও বলেন, আজ এখানে আমরা পাঁচজন দাঁড়িয়ে আছি। এক বছর পর আমরা একসঙ্গে থাকব কিনা সেটা জানি না। তাই জীবন যতখানি আছে, ততখানিকে যদি সুন্দর করে গুছিয়ে নেওয়া যায়, তাহলে সবটা উপভোগ এবং উপলব্ধি করতে পারা যায়। টাকার পিছনে যদি ছুটি সেটা একটা সময় ছেড়ে চলে যাব। তাই যতটা দেখার দেখে গেলে, করে গেলে সেটা নিজের সঙ্গে নিয়ে যাব। একটাই তো জীবন, কাজের পাশাপাশি তাই যা করার, দেখার সেটা করে, দেখে যেতে হবে।
রচনার মুখে একথা শুনে মুগ্ধ হয়ে যান উপস্থিত প্রত্যেকে। তনুকা বলেন, মানে তুমি সব দিক থেকেই আমাদের অনুপ্রেরণা। অভিনেত্রীর এমন উপলব্ধি দেখে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন নেটিজেনরাও। একজন যেমন কমেন্ট করেছেন, ভীষণ জরুরি কথা। শোনার পর সত্যি মনটা ভরে গেল। দ্বিতীয়জন আবার লেখেন, একেবারে ঠিক বলেছেন। এটাই শেখার, বোঝার। তবে কেউ কেউ আবার কটাক্ষও করেছেন। তাঁদের প্রশ্ন, তাহলে শাড়ির ব্যবসাটা কেন করেন?
No comments:
Post a Comment