ব্রহ্মকুমারী আশ্রমে আত্মঘাতী দুই বোন! উদ্ধার সুইসাইড নোট
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১১ নভেম্বর : শুক্রবার রাতে আগ্রার ব্রহ্মকুমারী আশ্রমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন দুই প্রকৃত বোন। আত্মহত্যার আগে দুই বোনই আশ্রমের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দুটি সুইসাইড নোট পাঠিয়েছিলেন। আত্মহত্যার জন্য আশ্রমের চার কর্মচারীকে দায়ী করে তারা মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে আবেদন করেছেন আশারামের মতো তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার জন্য। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা আশ্রমে পৌঁছালে দুই বোনকে ফ্যানের হুক থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
জাগনারের বাসিন্দা একতা (৩৭) ও শিখা (৩৪) দীর্ঘদিন ধরে ব্রহ্মকুমারী আশ্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। চার বছর আগে, জাগনারের বাসাই রোডে ব্রহ্মকুমারী আশ্রম প্রতিষ্ঠার পর সেখানে বসবাস শুরু করেন। নিহতের ভাই সোনু পুলিশকে জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত ১১.১৮ মিনিটে রূপবাসের ব্রহ্মকুমারী আশ্রমের বোন তাকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি সুইসাইড নোট পাঠান। এর ফলে একতা ও শিখার পাঠানো সুইসাইড নোট সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়, এরপর পরিবারে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। আতঙ্কিত পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে জাগনের এলাকার আশ্রমে পৌঁছান। দুই বোনকে সেখানে ঝুলতে দেখে কান্না শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ডিসিপি সোনম কুমার, এসিপি মহেশ কুমার, থানার ইনচার্জ জাগনের। সোনু তাদের জানান, দুই দিন আগে তিনি দুই বোনের সঙ্গে দেখা করতে আশ্রমে গিয়েছিলেন। তখন সবকিছু স্বাভাবিক ছিল। আত্মহত্যার খবর পেয়ে আশ্রমে পৌঁছেছেন শীর্ষ আধিকারিকরা।
জাগনারের ব্রহ্মকুমারী সেন্টারে আত্মহত্যা করা দুই বোন আট বছর আগে মাউন্ট আবুতে দীক্ষা নিয়েছিলেন। দীক্ষা গ্রহণের পর তাকে শহরে একটি কেন্দ্র নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। বলা হয়েছিল যে দুই বোনই আশ্রমের জন্য আর্থিক সহায়তা করেছিলেন। এসিপি খেরাগড় মহেশ কুমার জানান, আত্মহত্যার পর দুই বোন দুটি সুইসাইড নোট রেখে গেছেন। চারজনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।
সুইসাইড নোটে এ কথা লিখেছেন
সুইসাইড নোটে একতা ও শিখা আত্মঘাতী পদক্ষেপের জন্য আশ্রমের চার কর্মচারীকে দায়ী করেছেন। একতার নামে পাওয়া তিন পৃষ্ঠার সুইসাইড নোটটি শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধের মাধ্যমে। সুইসাইড নোটে বলা হয়েছে, দুই বোনই এক বছর ধরে মানসিক চাপে ছিলেন। এর জন্য কেন্দ্রের চার কর্মচারীকে দায়ী করা হয়েছে। সুইসাইড নোটে উল্লেখ করা হয়েছে, তার মৃত্যুর পর দরিদ্র শিশুদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করতে হবে কেন্দ্রটি। তার মৃত্যুর জন্য দায়ীদের আসারাম বাপুর মতো যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া উচিৎ।
No comments:
Post a Comment