৫০ ঘন্টা পার এখনও সুড়ঙ্গে আটকে শ্রমিকরা! পাইপ দিয়ে জল-খাবার সরবরাহ
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৪ নভেম্বর : উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে ৪০ জনের প্রাণ বাঁচানোর লড়াই ৫০ ঘন্টা ধরে চলছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সাফল্য আসেনি। রবিবার সকাল থেকে শ্রমিকদের উদ্ধার অভিযান চলছে। অপারেশন, যা অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতে পরিচালিত হচ্ছে, এখনও অনেক সময় লাগতে পারে। যমুনোত্রী মহাসড়কের ধরসু-বারকোটের মধ্যে সিল্কিয়ারায় চারধাম অল ওয়েদার রোড প্রকল্পের অধীনে নির্মাণাধীন টানেলের একটি অংশ ধসে পড়ায় ভিতরে কাজ করা সমস্ত শ্রমিক আটকে পড়ে।
এটি স্বস্তির বিষয় যে ধ্বংসাবশেষের আড়ালে অন্ধকারে আটকে পড়া শ্রমিকরা এখনও নিরাপদে রয়েছেন। জল নিষ্কাশনের জন্য টানেলে স্থাপিত পাইপলাইনটি বর্তমানে লাইফলাইন হিসেবে কাজ করছে। এই পাইপের মাধ্যমে শ্রমিকদের জল ও খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে তাদের সাহস দেওয়া হচ্ছে।
শনিবার রাতে কোম্পানির শ্রমিকরা টানেলের ভেতরে কাজ করছিল, কিন্তু রবিবার ভোর ৪টার দিকে শিফট পরিবর্তনের সময় টানেলের মুখের প্রায় ১৫০ মিটার ভেতরে, টানেলের প্রায় ৬০ মিটার ভেঙে যায় এবং টানেলের ভেতরে কাজ করা ৪০ শ্রমিক আটকে পড়ে মারা যায়। সেখানে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য যে লাইন বসানো হয়েছিল সেটিও ধ্বংসস্তূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। দুর্ঘটনার পর থেকে অব্যাহতভাবে চলছে উদ্ধারকাজ। ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। টানেলের ১৫ থেকে ২০ মিটার এলাকা থেকে ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু উপর থেকে বারবার ধ্বংসাবশেষ পড়ার কারণে তা সফল হয়নি।
ধ্বংসাবশেষ অপসারণে সফলতা না আসলে ৮০০ মিলিমিটার পুরু স্টিলের পাইপের সাহায্যে শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। 'ট্রাঙ্ক সজ্জিত' কৌশল ব্যবহার করা হবে। পরিখা সজ্জিত নর্দমা প্রযুক্তিতে, রাস্তা খনন না করেই রাস্তার নীচে নর্দমা লাইন স্থাপন করা হয়। ধ্বংসস্তূপে একের পর এক পাইপ পুঁতে টানেলের মুখ থেকে শ্রমিকদের কাছাকাছি পর্যন্ত টানেল তৈরি করা হচ্ছে। এরপর পাইপের ভেতরে হামাগুড়ি দিয়ে শ্রমিকরা বেরিয়ে আসতে পারে। এই ধ্বংসাবশেষের কোথাও পাথর থাকলে পাইপ ঠেলে দিতে অনেক অসুবিধা হবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় পাইপটিকে ম্যানুয়ালি ঠেলে দিতে হবে।
উত্তরকাশী টানেল দুর্ঘটনার দিকেও পিএমও ক্রমাগত নজর রাখছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুইবার সিএম ধামির কাছ থেকে টানেলে আটকে পড়া মানুষ এবং ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান সম্পর্কে তথ্য নিয়েছেন। ধামি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই দুর্ঘটনা মোকাবেলায় সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি প্রতিটি পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment