'মহাত্মা গান্ধী ছিলেন মহাপুরুষ, প্রধানমন্ত্রী মোদী যুগপুরুষ': উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৭ নভেম্বর: মহাত্মা গান্ধীকে গত শতাব্দীর মহাপুরুষ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই শতাব্দীর যুগপুরুষ হিসেবে অভিহিত করেছেন উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। সোমবার (২৭ নভেম্বর) এই মন্তব্য করেন তিনি।
জৈন চিন্তাবিদ ও দার্শনিক শ্রীমদ রাজচন্দ্রজির জন্মবার্ষিকী উদযাপনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ধনখড় বলেন, "মহাত্মা গান্ধী সত্যাগ্রহ ও অহিংসার মাধ্যমে আমাদের ব্রিটিশদের দাসত্ব থেকে মুক্ত করেছিলেন। ভারতের সফল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমাদের সেই পথে নিয়ে গেছেন যেখানে আমরা সবসময় যেতে চেয়েছিলাম। আমি আপনাদের একটা কথা বলতে চাই। মহাত্মা গান্ধী গত শতাব্দীর মহাপুরুষ ছিলেন, নরেন্দ্র মোদী এই শতাব্দীর যুগপুরুষ।"
ধনখড় বলেন, 'দুই মহান ব্যক্তিত্ব - জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর মধ্যে একটি জিনিস মিল রয়েছে। তাঁরা শ্রীমদ রাজচন্দ্রজীকে প্রতিফলিত করেছেন। ' তিনি বলেন, 'এ দেশের উন্নয়নের বিরোধিতাকারী শক্তি এবং এদেশের উত্থান হজম করতে না পারা শক্তি একত্রিত হচ্ছে। দেশে যখনই কিছু ভালো হয় এই লোকেরা ভিন্ন বিষয়ে চলে আসে। এটা হওয়া উচিৎ নয়।''
ধনখড় বলেন, "বিপদ অনেক বড়। আপনি (আমাদের) চারপাশে যে দেশগুলি দেখতে পাচ্ছেন, তাদের ইতিহাস ৩০০ বা ৫০০ বা ৭০০ বছরের পুরানো, (যেখানে) আমাদের ইতিহাস ৫,০০০ বছরের পুরনো।"
এদিকে, মহাত্মা গান্ধী ও প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিয়ে ধনখড়ের মন্তব্যে বহুজন সমাজ পার্টির সাংসদ দানিশ আলি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ বিস্ময় প্রকাশ করে লিখেছেন, “আমি উপরাষ্ট্রপতিকে জিজ্ঞাসা করতে চাই যে, প্রধানমন্ত্রীর দলের (বিজেপি) একজন সাংসদকে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে অপশব্দ ব্যবহারের ছাড় দিয়ে কোন নতুন যুগের সূচনা হয়েছে।"
প্রসঙ্গত, শ্রীমদ রাজচন্দ্রজি ১৮৬৭ সালে গুজরাটে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯০১ সালে মারা যান। তিনি জৈন ধর্মের শিক্ষা এবং মহাত্মা গান্ধীর আধ্যাত্মিক মার্গ দর্শনের জন্য পরিচিত। শ্রীমদ রাজচন্দ্রজি এবং মহাত্মা গান্ধীর প্রথম সাক্ষাৎ হয় মুম্বাইতে ১৮৯১ সালে, যখন তিনি (গান্ধী) একজন যুব ব্যারিস্টার হিসেবে ইংল্যান্ড থেকে ফিরে আসেন।
No comments:
Post a Comment