বিবাহের জন্য স্বামী-স্ত্রীর বয়স ব্যবধান
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৩ ডিসেম্বর:
সব দম্পতির মধ্যেই থাকে কমবেশি বয়সের ব্যবধান।পারিবারিক হোক বা ভালোবাসার বিয়ে দুজনের মধ্যেকার বয়সের ব্যবধান নিয়ে কমবেশি সবাই ভাবেন।
কিন্তু সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে এখন আর কেউ বয়সের বিষয়ে মাথা ঘামান না। তবুও দাম্পত্য জীবনে বয়সের ব্যবধান প্রভাব ফেলতে পারে বলে মত অনেকের। তাহলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য কত হওয়া ভালো?
তবে একেক দম্পতির মধ্যেকার বয়সের ব্যবধান ভিন্নভাবে প্রভাব ফেলে সংসারে। দেখা যায়,কোনো দম্পতির মধ্যে ২ বছর বয়সের ব্যবধান,তবুও তারা দাম্পত্য জীবনে সুখী। আবার দেখা যায়,যাদের মধ্যেকার বয়সের ব্যবধান ১০বছর,তারাও দিব্যি সুখে সংসার করছেন।
আবার এমন বয়সের ব্যবধান থাকা অনেক দম্পতির মধ্যে মতের অমিল,অশান্তি এমনকি বিচ্ছেদের ঘটনাও ঘটে থাকে । এই কারণেই বলা হয়,সফল সুখী বিয়ের জন্য বয়সের ব্যবধানও সঠিক হওয়া প্রয়োজন। আর না হলেই বিয়ের পর দাম্পত্য জীবনে হতে পারে অশান্তি।
কারণ একজনের চেয়ে অন্যজন বয়সে বড় হওয়ায় তাদের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো থাকে। সব সময় তারা বিয়েকে ভেঙে পড়া থেকে রক্ষা করে।দাম্পত্য জীবনে এমন বয়সের ব্যবধানকে আদর্শ বলা হয়।
অন্যদিকে বয়সের ব্যবধান ১০ বছর,এমনন দম্পতিদের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো থাকলে সংসারে উন্নতি ঘটে।তবে অল্প বয়স্ক সঙ্গীর মতাদর্শের সঙ্গে মত মেলাতে না পারলে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
তাই বলা হয়,স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য দাম্পত্য জীবনে বিরাট প্রভাব ফেলে। দুজনের মধ্য বেশি বয়সের পার্থক্য যেমন ডেকে আনতে পারে অশান্তি,ঠিক তেমনি সমবয়সী কিংবা অল্প বয়সের ব্যবধানও সম্পর্ককে নড়বড়ে করে তুলতে পারে।
কিন্তু বয়সের ব্যবধান সর্ত্ত্বেও একটি সফল ও সুখী বিবাহ জীবনের মূল মন্ত্র হল যোগাযোগ, পারস্পরিক শ্রদ্ধা,ভালোবাসা ও স্থিতিশীলতা । যদিও বা এখনও বিবাহের জন্য সঠিক বা নির্দিষ্ট কোনো বয়সের ব্যবধান নির্ধারণ করা নেই।
No comments:
Post a Comment