ফাঁস হল অরিজিৎ সিংয়ের সেরা ১০ টি গানের পারিশ্রমিকের অংক, দেখলে ঘুরে যাবে মাথা
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৫ ডিসেম্বর: অরিজিৎ সিং এমন একজন বাঙালি সংগীত শিল্পী যিনি শুধু ভারতবর্ষ নয়, সারা বিশ্বের দরবারে নিজের গানকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসিয়েছেন। বাংলা হোক বা হিন্দি, যে কোনো ভাষায় অরিজিতের গান আমাদের মুগ্ধ করে দেয়। ৮ থেকে ৮০, সকলের কাছেই অরিজিৎ সমানভাবে প্রিয়। চলুন আজ আমরা জানবো এমন ১০টি বিখ্যাত গানের কথা, যে গানগুলি গাওয়ার জন্য অরিজিৎ নিয়েছেন আকাশ প্রমাণ অর্থ।
গুরুকুল নামক একটি রিয়ালিটি শো-এর হাত ধরে অরিজিৎ এসেছিলেন প্রথম ক্যামেরার সামনে। ফির মোহাব্বত কারনে চলা হে তু, গানটি জনগণরা ভীষণ পছন্দ করলেও অরিজিৎ প্রথম সাফল্য অর্জন করেছিলেন আশিকি টু সিনেমার গান গেয়ে। আজ বলিউডের প্রত্যেক অভিনেতারা নিজেদের সিনেমায় রাখতে চান অরিজিতের একটি হলেও গান, কারণ তারা জানেন অরিজিতের গান থাকা মানেই সেই সিনেমা হিট। এবার জেনে নেওয়া যাক সেই ১০ টি গানের কথা যে গানগুলি গাওয়ার জন্য অরিজিৎ নিয়েছিলেন লক্ষাধিক টাকা।
আশিকি টু সিনেমার ট্রাইটেল ট্র্যাক গান গাওয়ার জন্য অরিজিৎ নিয়েছিলেন ১৫ লাখ টাকা। ‘বরফি’ সিনেমার ফির লে আয়া দিল গানটি গাওয়ার জন্য তিনি নিয়েছিলেন ১০ লাখ টাকা। সম্প্রতি মুক্তি প্রাপ্ত ‘পাঠান’ সিনেমার ঝুমে জো পাঠান, গানটি গাওয়ার জন্য ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন সংগীত শিল্পী। শাহরুখ খানের কাম ব্যাক সিনেমা ‘ জওয়ান ‘- এর ছালেয়া গানটির জন্য ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন তিনি।
সিম্বা সিনেমার বন্দেয়া রে বন্দেয়া সিনেমার জন্য তিনি ২০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। ‘তামাশা ‘ সিনেমার আগার তুম সাথ হো, সিনেমার জন্য তিনি নিয়েছিলেন ৮ লক্ষ টাকা। ‘এয়ার লিফট’ সিনেমার সোচ না সাকে গানটিতে ১২ লক্ষ টাকা নিয়েছেন তিনি। ‘৮৪’ সিনেমার লেহরা দো, গানটি গাওয়ার জন্য ১৪ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন অরিজিৎ। সুশান্ত সিং রাজপুতের ‘রাবতা’ সিনেমার টাইটেল ট্র্যাক গানটির জন্য নিয়েছিলেন ১০ লক্ষ টাকা। সারি সারি, নিহাম গানটির জন্য তিনি নিয়েছিলেন মাত্র ৩ লক্ষ টাকা।
বাংলা হোক বা হিন্দি, যে কোনো ভাষার গানের জন্যই তিনি এই ভাবেই নিয়ে থাকেন লক্ষাধিক টাকা পারিশ্রমিক। তবে তিনি সব থেকে বেশি পারিশ্রমিক নেন কনসার্টে গান গাওয়ার জন্য। যে কোনো কনসার্টে মাত্র ৪৫ মিনিটের গান গাওয়ার জন্য তিনি নিয়ে থাকেন ১ থেকে ২ কোটি টাকা। গানের কনসার্টের এক একটি টিকিট বিক্রি হয় লাখ লাখ টাকায়। এই মুহূর্তে অরিজিৎ মোট ১৪৯ কোটি টাকার মালিক।
তবে এত খ্যাতি অর্জন করলেও বা এত অর্থের মালিক হলেও তিনি কিন্তু একেবারে মাটির মানুষ। জিয়াগঞ্জের সার্বিক উন্নতির জন্য তিনি নিজের পারিশ্রমিকের প্রায় অর্ধেক দান করে দেন। একাধিক দামি দামি গাড়ি থাকা সত্ত্বেও তিনি স্কুটি করে যাতায়াত করেন কাছাকাছি যে কোন জায়গায়। অরিজিৎকে দেখলে কে বলবে তিনি ২০২৩ সালের সর্বোচ্চ আয়কর দাতা। ১৮ কোটি টাকা আয়কর দিয়ে তিনি সর্বোচ্চ আয়কর দাতাদের দিক থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment