অর্জুনকে এড়ালেন অনেকেই
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ২৯ ডিসেম্বর: কর্মী সভা মঞ্চে অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখলেন অনেকেই।এদিন এগারোটা নাগাদ অর্জুনকে মঞ্চে দেখা যায়। বিধায়ক রফিকার রহমান ও সাংসদ নুসরত জাহান ছাড়া কেউ কথা বলেননি তার সঙ্গে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে ওঠার পর অর্জুনের নাম নেন শুরুতেই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকনাথ মন্দিরে বক্তব্য রাখছেন।ওই সময় ঢিল ছোঁড়া দূরে কর্মীসভার মঞ্চে জনা দশেক বিধায়ক। সাংসদ সৌগত ও নুসরত। ছোট ছোট জটলা করে গল্প করছেন তারা। দুজন বাদে বাকিরা অর্জুনের কাছে আসেননি, বলেননি কথা। বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান ও আমডাঙার বিধায়ক রফিকার রহমান কথা বলেন। সব্যসাচী দত্ত অর্জুনের মাথায় কয়েকবার হাত বুলিয়ে মুখের ভঙ্গিতে বোঝাতে চাইলেন, গরম মাথা ঠাণ্ডা করো। যদিও মঞ্চে উঠে প্রথম দফায় মমতা যাদের নাম বললেন সেই তালিকায় প্রথমেই ছিল অর্জুন।
তৃণমূল নেতাদের দাবী, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ ও সুজিত বসু চাকলার সভার দ্বায়িত্ব পালন করেন অথচ নেত্রী তাদের নাম একবারও করলেন না। অর্জুনের নাম বললেন শুরুতেই। পুরসভা স্তরের জনপ্রতিনিধিদের একাংশের যুক্তি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াকু, খ্রিপতা, কড়া নির্দেশ, একগুয়ে নির্ভরতার জন্য জনপ্রিয়। এগুলোই তার ইউএসপি। তাঁর নির্দেশেই সব সমাধান হয়। সেসব হারিয়েছেন তিনি। এই মমতাকে অচেনা লাগল।
তৃণমূল বিধায়কদের একাংশের দাবী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন অভিষেক লবির নেতাদের হাতে কার্যত সাংগঠনিক ক্ষমতা দিয়ে গেলেন। ঘুরিয়ে নতুনদের তুলে আনার ইঙ্গিতও দিয়ে গেলেন। মমতা বলেন, "ছাত্র যৌবনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে তবে প্রবীণদের গুরুত্ব দিতে হবে। আমি বারবার বলেছি পুরানো চাল ভাতে বাড়ে। নতুন চাল আগে বাড়ে। দু'টো চালই আমার দরকার।"
প্রবীন তৃণমূল নেতাদের দাবী, নতুনদের শেখাবে প্রবীনরা।সভা শেষে পার্থ ভৌমিক বলেন, ”আমরা এসব নিয়ে ভাবছি না। আমরা উত্তর ২৪পরগনার পাঁচটি আসন জয়ের বিষয়ে ভাবছি।বাকি সব সংবাদমাধ্যম ভাবছে।“ শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ”আলোচনার মাধ্যমে সব মিটবে। নেত্রী যা বলার বলে দিয়েছেন। বুদ্ধিমানদের জন্য ইশারাই যথেষ্ট।"
No comments:
Post a Comment