হানিমুন কাটিয়ে দু’প্রান্তে পরম-প্রিয়া, নতুন বউকে ছেড়ে স্বস্তিকার কাছে পরমব্রত
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৩ ডিসেম্বর: সদ্য বিয়ে সেরেছেন পরমব্রত চ্যাটার্জী এবং পিয়া চক্রবর্তী। গত সপ্তাহে বন্ধু অনুপম রায়ের প্রাক্তন স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তীর গলায় মালা দিয়েছেন টলিউডের মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর পরমব্রত। সেই নিয়ে সমালোচনার ঝড় এখনও থামেনি সোশ্যাল মিডিয়াতে। তবে সেসব দিকে মন না দিয়ে হানিমুনও সেরে এলেন পরমপিয়া। আর তার পরপরই নব দম্পতিকে হতে হল আলাদা।
গত ২৭ শে নভেম্বর রেজিস্ট্রি করে নতুন জীবনের পথে পা বাড়ান পরমব্রত এবং পিয়া। যোধপুর পার্কের বাড়িতে একেবারেই ঘরোয়া ভাবে তাদের আইনি বিয়ের অনুষ্ঠানটি হয়েছিল। তারপর সমালোচনাকে পাত্তা না দিয়ে তারা উড়ে গিয়েছিলেন আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে, বিয়ের পর একান্ত মুহূর্তগুলো কাটানোর জন্য। কিন্তু হঠাৎ কি হল যে কলকাতায় ফিরতে না ফিরতেই আলাদা হতে হল পরম-পিয়াকে?
আসলে এখন কাজ নিয়ে বেজায় ব্যস্ত রয়েছেন পরমব্রত। বিয়ে এবং হানিমুন পর্ব কাটানোর পরপরই তিনি পুরোদস্তুর কাজের মধ্যে ডুবে গিয়েছেন। কলকাতায় পা রাখতে না রাখতেই নব দম্পতি এখন শহরের দুই প্রান্তে। কলকাতা শহরের এক নামী ক্লাবে বলিউড তারকাদের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল পরমব্রতকে। একটি শর্ট ফিল্মের প্রচারের জন্য পরমব্রতর পাশাপাশি ক্লাবে উপস্থিত ছিলেন কল্কি কোয়েচলিন, জিম সরভরাও।
অন্যদিকে পিয়াও সোশ্যাল মিডিয়াতে তার ছবি শেয়ার করেছেন। গোলাপি রঙের একটি হুডিতে আপাদমস্তক জড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি ছবি শেয়ার করেছেন। তার হাতে জ্বলজ্বল করছে পরমব্রতর পরিয়ে দেওয়া বিয়ের হীরের আংটি। ক্যাপশনে লিখেছেন, পিঙ্ক হুডি ভাইবস।
এদিকে আবার এবং স্বস্তিকা মুখার্জীকে নিয়েও এসেছে একটি নতুন খবর। খুব শীঘ্রই আবারও একবার স্ক্রিন শেয়ার করতে চলেছেন দুজনে। স্বস্তিকার প্রাক্তন সৃজিত মুখার্জির পরিচালনায় আসছে একটি নতুন ছবি। এই ছবিটাতে আবার সংগীত পরিচালকের ভূমিকায় নাকি থাকছেন পরমপত্নী পিয়ার প্রাক্তন স্বামী অনুপম রায়!
২ বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট মারফত পিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর শেয়ার করেছিলেন অনুপম। তখন থেকেই পরমব্রতর সঙ্গে পিয়ার সম্পর্ক নিয়ে কানাঘুষো ছড়াতে শুরু করে। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২ বছরের মাথায় বন্ধু-পত্নীকে বিয়ে করলেন পরমব্রত। তবে ব্যক্তিগত জীবনে যাই ঘটুক না কেন, কর্মক্ষেত্রে কিন্তু পরমব্রত এবং অনুপম পেশাদারিত্বের সম্পর্কটাই বজায় রাখছেন।
No comments:
Post a Comment