বাঁচার আশা নেই, মেঘের মৃত্যুতেই শেষ হবে ইচ্ছে পুতুল! ফাঁস হল আগামী পর্ব

 

বাঁচার আশা নেই, মেঘের মৃত্যুতেই শেষ হবে ইচ্ছে পুতুল! ফাঁস হল আগামী পর্ব

প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৯ ডিসেম্বর: এই মুহূর্তে টানটান পর্ব চলছে জি বাংলার ইচ্ছে পুতুল ধারাবাহিকে। বেশ কিছুদিন যাবত মেঘ রয়েছে হাসপাতালে ভর্তি। কিছুতেই জ্ঞান ফিরছে না তার। তাহলে কি এবার মেঘের মৃত্যুর মাধ্যমেই শেষ হয়ে যাবে সিরিয়াল? দেখানো হবে না, নীল আর মেঘের মিল? কি মনে করছেন আমজনতা?

জি বাংলার ইচ্ছে পুতুল ধারাবাহিকের গল্প সাজানো হয়েছিল দুই বোনের একজন পুরুষকে ভালবাসার কাহিনী দিয়ে। নীল যে কিনা বিয়ের মন্ডপে বসে ময়ূরীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে দেয় এবং বিয়ে করে মেঘকে। এই বিয়ে কিছুতেই মেনে নিতে পারে না ময়ূরী এবং নীলের পরিবারের কেউ। শুরু হয় মেঘের বিপক্ষে একের পর এক চক্রান্ত।

শ্বশুর বাড়ির সকলের মন জয় করার আপ্রাণ চেষ্টা করার পরেও যখন মেঘ দেখে তাকে অসম্মান করা হচ্ছে শ্বশুরবাড়িতে, তখন সে কিছুটা বাধ্য হয়ে বেরিয়ে আসে শ্বশুরবাড়ি থেকে। নীলকে সে পাঠিয়ে দেয় ডিভোর্সের নোটিশ। এরই মধ্যে মেঘের জীবনে আসে জিষ্ণু যার সঙ্গে বেশ ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয় তার। মেঘ এবং জিষ্ণুর সম্পর্ক নিয়ে ফের জটিলতা তৈরি হয় নীল এবং মেঘের মধ্যে।

এরই মধ্যে গিনি মেঘের কথা অস্বীকার করে বিয়ে করে রূপকে আর বিয়ের পরের দিন থেকেই সে বুঝতে পারে সে কত বড় ভুল করে ফেলেছে। এ কথা কাউকে সে বলতে পারে না কিন্তু কোনভাবে মেঘ আন্দাজ করে ফেলে গিনি ভালো নেই। জিষ্ণুর সঙ্গে গিনির শশুর বাড়িতে গিয়ে তাকে রূপের হাত থেকে রক্ষা করে নিয়ে আসে মেঘ, আর তারপর থেকেই মেঘের শত্রু সংখ্যা আরো বেড়ে যায়।

সম্প্রতি ইচ্ছে পুতুল ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে মেঘ এবং জিষ্ণুকে প্ল্যান করে একটি রিসোর্টে নিয়ে যায় ময়ূরী এবং রূপ। রিসোর্টে ওয়েলকাম ড্রিংকের আড়ালে মেঘকে খাইয়ে দেওয়া হয় মদ, আর তারপরেই মেঘ আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। জিষ্ণু যখন মেঘকে বাঁচাতে যায় তখন সেখানে হাজির হয় মেঘের বাবা, ময়ূরী এবং নীল। সম্পূর্ণ ব্যাপারটি মিডিয়া সকলের সামনে অন্যভাবে তুলে ধরে আর এই প্রথম মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে মেঘ।

নিজেকে নির্দোষ প্রমাণিত করতে না পারায় মেঘ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এই মুহূর্তে মেঘ কোমায় রয়েছে এবং গিনি চেষ্টা করছে কিভাবে মেঘকে নির্দোষ প্রমাণিত করা যায়। ইচ্ছে পুতুল ধারাবাহিকের অন্তিম পর্ব যে আসন্ন তা এতদিন বোঝাই যাচ্ছিল, কিন্তু ধারাবাহিকটি কিভাবে শেষ হবে তা এখনো বোঝা যাচ্ছে না।