শৈশবে মা-বাবার ডিভোর্স, সবজি বেচে চলতো না সংসার! সোমরাজ ঋত্বিকের জীবন যেন সিনেমা - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 11 December 2023

শৈশবে মা-বাবার ডিভোর্স, সবজি বেচে চলতো না সংসার! সোমরাজ ঋত্বিকের জীবন যেন সিনেমা

 



শৈশবে মা-বাবার ডিভোর্স, সবজি বেচে চলতো না সংসার! সোমরাজ ঋত্বিকের জীবন যেন সিনেমা


প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক,১১ ডিসেম্বর: ঋত্বিক প্রথমা কাদম্বিনী গল্পে একটি কলেজ স্টুডেন্টদের ভূমিকায় অভিনয় করলেও প্রথম মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন এই পথ যদি না শেষ হয় ধারাবাহিকে। বর্তমানে জি বাংলার মন দিতে চাই সিরিয়ালে সোমরাজ চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। ঠিক সাড়ে দশটায় জি বাংলার পর্দায় সোমরাজ এবং তিতিরের কেমিস্ট্রি ভীষণ ভালো লাগে দর্শকদের। এবার জি বাংলায় সৌরভের সামনে নিজের ক্যারিয়ারের স্ট্রাগলের কথা বলতে গিয়ে অনেক অজানা কথা তুলে ধরলেন অভিনেতা।



দাদাগিরির মঞ্চে সহ অভিনেত্রী অরুনিমার সঙ্গে খেলতে এসে ভীষণ আপ্লুত হন ঋত্বিক। দাদার সামনে খেলবেন বলে কথা। জীবনের কথা বলতে গিয়ে কিছুটা আবেগ তাড়িত হলেন ঋত্বিক। বললেন, কিভাবে তার মা কষ্ট করে তাকে বড় করেছেন। মায়ের আত্মত্যাগের গল্পের সাথে সাথে শোনালেন নিজের জীবনের কষ্টের কথাও।


ঋত্বিক বলেন, ক্লাস ফোরে পড়ার সময় আমার বাবা-মা আলাদা হয়ে যান। সেই সময় আমার মায়ের স্ট্রাগল শুরু হয়। সেই ক্লাস ফোর থেকে ২৮ বছর বয়স পর্যন্ত আমার মা যে কি কষ্ট করে আমাকে বড় করেছে তা আমি নিজের চোখের সামনে দেখেছি। আমাকে মানুষ করার জন্য অনেক ছোট ছোট ইচ্ছা পূরণ করেনি আমার মা। আমার মা কখনো ৭০ টাকার বেশি মূল্যের জুতা ব্যবহার করেনি। দামি লিপস্টিক ব্যবহার করেনি। কোন গ্রুমিং কিট আমি আমার মাকে ব্যবহার করতে দেখিনি।


অভিনেতা আরো বলেন, আমি চাই আমার মা ঠিক যা যা পারেনি তা সমস্ত পূরণ করতে। আমি আমার মায়ের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করতে চাই। এই কথার মধ্যেই কোথায় যেন ‘মন দিতে চাই’ সিরিয়ালের সোমরাজের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল বাস্তবের ঋত্বিক। ঋত্বিকের কথা শুনে সৌরভ গাঙ্গুলীও বলে উঠলেন, নিশ্চয়ই পারবে। খুব ভালো চিন্তাভাবনা তোমার। যার মন এতো ভালো, তার সব আশা পূরণ হবে।


নিজের স্ট্র্যাগেলের কথা বলতে গিয়ে ঋত্বিক বলেন, আমার ২৮ বছর বয়সের আগে পুরো সংসারের দায়িত্বটাই ছিল মায়ের ওপর। সেই সময় আমি থিয়েটার করতাম। যখন থিয়েটারে টাকা ফুরিয়ে যেত তখন চাকরি করতাম আবার চাকরি করে এক বছর যখন টাকা জমিয়ে ফেলতাম, তখন আবার চাকরি ছেড়ে দিয়ে থিয়েটার করতাম এভাবেই চলত আমার দিন। লকডাউনের সময় আমি পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে বাজার পর্যন্ত বিক্রি করেছি। অবশেষে জি বাংলার হাত ধরেই আমি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। থ্যাংক ইউ জি বাংলা।


প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই মন দিতে চাই ধারাবাহিকের অনস্ক্রিন শ্যালিকা অর্থাৎ শ্রীতমার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন ঋত্বিক। যদিও পরবর্তীকালে একে অপরকে আনফলো করে দেন তারা। ভেঙে যায় সেই সম্পর্ক। বর্তমানে নায়িকা অরুনিমার সঙ্গে ঋত্বিকের সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে সর্বত্র। তবে এই গুঞ্জন আদৌ কতটা ঠিক তা সময় বলতে পারবে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad