বেশি খাচ্ছেন বা খাওয়ায় অনীহা? ইটিং ডিজঅর্ডার-এর শিকার নন তো!
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৪ ডিসেম্বর: সবাই চায় বিভিন্ন রকমের খাবারের স্বাদ নিতে। অনেক মানুষ আছেন, যারা বড় বড় ভোজনরসিক এবং আপনি নিশ্চয়ই আপনার আশেপাশে এমন অনেক লোককে দেখেছেন যারা খাবারের নামে নাক-মুখ কুঁচকে থাকে। এটি আমাদের কাছে স্বাভাবিক বলে মনে হতে পারে, তবে সুস্থ থাকার জন্য আমাদের খাদ্যাভ্যাসের দিকে মনোযোগ দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় মানুষ তা বুঝতে পারে না কিন্তু তারা ইটিং ডিজঅর্ডারের শিকার হতে পারেন। এই ব্যাধির প্রভাব সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে খারাপভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
খাওয়ার সঙ্গে জড়িত এই ডিজঅর্ডার যে কারওই হতে পারে। তবে, এই ইটিং ডিজঅর্ডার বেশিরভাগই দেখা যায় যে অল্প বয়সীদের মধ্যে। এর পেছনে জিনগত কারণও থাকতে পারে (পরিবারের কারও হয়তো সমস্যা ছিল)। এই সমস্যায় মনোযোগ দিলে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা ইটিং ডিজঅর্ডার সম্পর্কে কী বলেন, আসুন জেনে নেওয়া যাক -
মানসিক ও শারীরিক সমস্যার শিকার হতে পারেন
ইটিং ডিজঅর্ডার সম্পর্কে কথা বলতে গেলে, এর মধ্যে রয়েছে অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসা (মোটা বোধ করার কারণে খাবার এড়িয়ে যাওয়া), বুলিমিয়া নার্ভোসা (অতিরিক্ত খাওয়া), এগুলি ছাড়াও, বিঞ্জ ইটিং ডিসঅর্ডার (অল্প সময়ে খুব বেশি খাওয়া), পিকা ইটিং ডিজঅর্ডার (মাটি, চক, বরফ, কাগজ)। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি একটি মানসিক ব্যাধি। যারা এই সমস্যায় ভুগছেন, তাদের খাওয়ার ধরন পরিবর্তনের কারণে হৃদরোগ, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল, থাইরয়েড ইত্যাদি শারীরিক রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
ডাক্তাররা কী বলেন?
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ম্যাক্স হাসপাতালের মনোরোগ বিভাগের ডাক্তার সন্দীপ গোভিলের মতে, ইটিং ডিজঅর্ডার এক ধরনের মানসিক সমস্যা, যার কারণে রোগী হয় খাওয়া বন্ধ করে দেয় বা শরীরের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাওয়া শুরু করে। এ কারণে ওজন দ্রুত বাড়তে বা কমতে পারে। জন্ম থেকেই কিছু শিশুর এই সমস্যা হতে পারে।
ইটিং ডিজঅর্ডারের চিকিৎসা কি?
ইটিং ডিসঅর্ডার কোন দুরারোগ্য ব্যাধি নয় তবে নিরাময় করা যায়। যদি কেউ এই ব্যাধির শিকার হন তবে একজন মানসিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ, কাউন্সেলিং থেরাপি, কগনিটিভ থেরাপি এবং প্রয়োজনে কিছু ওষুধ দিয়েও এটি নিরাময় করা যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment