অত্যধিক লবণ খাওয়া হতে পারে কিডনির পাথরের কারণ
প্রেসকার্ড নিউজ,হেল্থ ডেস্ক,২৮ ডিসেম্বর: যখন দ্রবীভূত খনিজগুলি আমাদের কিডনিতে জমা হয় এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় না,তখন পাথর তৈরি হয়।একে কিডনি স্টোন বলে।অনেক সময় এর আকার ছোট হয় এবং পাথর স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে।কখনও কখনও এর আকার খুব বড় হয়ে যায় এবং এটি কিডনির কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে।বেশিরভাগ পাথরই ক্যালসিয়াম পাথর।কিডনিতে পাথর হলে প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে এবং হাসপাতালে যেতে হয়।আজকাল তরুণদের মধ্যেও এই সমস্যা দ্রুত বাড়ছে।
বেশির ভাগ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মনে করেন,পর্যাপ্ত জল পান না করলে কিডনিতে পাথর হতে পারে।যারা কম জল পান করেন এবং উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণ করেন তাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।তবে অনেক সময় ইউরিক অ্যাসিড ও অন্যান্য কারণেও কিডনিতে পাথর হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে এর কারণও জানা যায় না।কিডনিতে পাথরের সঠিক চিকিৎসা না করালে প্রস্রাবের সমস্যা,ইউরিন ইনফেকশন এমনকি কিডনির ক্ষতিও হতে পারে।এই বিষয়ে অসাবধানতা স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।অনেক গবেষণায় কিডনিতে পাথর হওয়ার আশ্চর্যজনক কারণও বেরিয়ে এসেছে।
বেশি লবণ খেলে কি কিডনিতে পাথর হতে পারে?
হার্ভার্ড হেলথ রিপোর্ট অনুযায়ী,উচ্চ সোডিয়ামযুক্ত খাবার খেলে কিডনিতে পাথর তৈরি হতে পারে।সোডিয়াম লবণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং অতিরিক্ত লবণ খেলে শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে অত্যধিক লবণ খাওয়া কিডনিতে পাথরের সৃষ্টি করতে পারে এবং মানুষ প্রচণ্ড ব্যথার সম্মুখীন হতে পারে। আসলে অতিরিক্ত লবণ খেলে প্রস্রাবে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায়,যা পাথর হওয়ার ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়।WHO-এর মতে,মানুষের দিনে ৫ গ্রামের কম লবণ অর্থাৎ ১ চা চামচ বা তার কম লবণ খাওয়া উচিৎ।এছাড়া যারা কিডনিতে পাথরের সমস্যায় ভুগছেন তাদেরও লবণ কম খাওয়া উচিৎ।
কিডনির পাথর এড়ানোর কিছু কার্যকরী উপায় -
কিডনির পাথর এড়াতে মানুষের প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করা উচিৎ।প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ লিটার জল পান করা উচিৎ।
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেলে কিডনিতে পাথরের সমস্যা এড়ানো যায়।দুধ,দই,পনির,সয়াবিন,বাদাম এবং সবুজ শাক-সবজি খান।
খুব বেশি আমিষ খাবেন না।কারণ এটি ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার কারণেও কিডনিতে পাথর হতে পারে।
অতিরিক্ত চকোলেট,চা এবং আখরোট খাওয়ার ফলেও কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।তাই এসব থেকে দূরে থাকতে হবে।
কিডনিতে পাথরের সমস্যা এড়াতে সফ্ট ড্রিঙ্ক,কোল্ড ড্রিংক্স এবং সোডা পান করা কমাতে হবে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment