মানসিক সুস্থতার জন্য নিজেকে গোপন রাখুন
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৯ ডিসেম্বর:
বর্তমান সময়ে মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে বেছে নেয়।আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই আবেগের বশে নিজের ব্যক্তিগত বিভিন্ন বিষয় শেয়ার করে বসেন।যদিও নিজের সুখ কিংবা দুঃখের কথা অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করার অনেক উপকারিতা আছে। আবার অন্যদিকে এর অপকারিতাও কিন্তু কম নয়।
মনোবিজ্ঞানরা জানাচ্ছেন যে,ব্যক্তিগত জীবন পাবলিক প্ল্যাটফর্মে শেয়ার না করাই ভালো, শুধু তাই নয় পরিবার কিংবা ভালো বন্ধু ছাড়া অন্যদের কাছে নিজের জীবন গোপনীয় রাখা উচিৎ।
বিশেষ করে মানসিক সুস্থতার জীবনের গোপনীয়তার কোনো বিকল্প নেই। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক,নিজের জীবনের গোপনীয়তা বজায় রাখা কেন জরুরি-
কাউকে ব্যাখা দিতে হবে না:
মনোবিজ্ঞান অনুসারে,যখনই আপনি কারও কাছে আপনার জীবনের ঘটনাগুলো ভাগাভাগি করে নেবেন,তখন সেও তার মতামত আপনাকে জানাবেন।একই সঙ্গে কোনো ঘটনার জেরে আপনাকে হয়তো ব্যাখ্যাও দিতে হবে। তাই আপনার জীবনকে ব্যক্তিগত রাখলে অপ্রয়োজনীয় ব্যাখ্যার বোঝা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।
সবাই বন্ধু নয়:
মানুষ সামাজিক প্রাণী হওয়ায় এক বাঁচতে পারে না।জীবনে চলার পথে প্রকৃত বন্ধু খুঁজে নেয় কমবেশি সবাই।তবে আপনি যাকে বন্ধু ভেবে নিজের জীবনের সবকিছু শেয়ার করছেন,তিনি কি সত্যি আপনার বিষয়গুলো গোপন রাখছে?এবার ভেবে দেখুন বিষয়টি,তারপর বিবেচনা করুন কার কাছে আপনি নিজের সুখ-দুঃখের কথা জানাবেন।
ব্যক্তিগত জীবন গোপন রাখা জরুরি:
মনস্তাত্ত্বিক বিভিন্ন গবেষণা বলছে,মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিজের জীবনকে গোপনীয় রাখুন।সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খুব বেশি প্রকাশ করার কারণে আপনি সাইবার বুলিংয়েরও শিকার হতে পারেন। আর এতে বাড়ে মানসিক অবসাদ।
মনে শান্তি পাবেন:
অনেকেরই ভুল ধারণা আছে যে,কারো সঙ্গে মনের কথা শেয়ার করলে দুঃখ কমে। তবে মনোবিজ্ঞান বলছে এর উল্টো কথা। বরং গোপনীয়তাই মনে শান্তি আনে। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে,ব্যক্তিগত সীমানা প্রতিষ্ঠা করা ও তথ্য ভাগাভাগি সীমিত করা মানসিক সুস্থতার ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখে।
No comments:
Post a Comment