হু হু করে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা! গত ২৪ ঘন্টায় প্রাণ হারিয়েছে ৬ জন

 

হু হু করে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা! গত ২৪ ঘন্টায় প্রাণ হারিয়েছে ৬ জন

প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৮ ডিসেম্বর : গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে করোনার ৬৯২ টি নতুন সংক্রমণ  রিপোর্ট করা হয়েছে।  অর্থাৎ প্রতি ঘন্টায় দেশে ২৮টি নতুন কোভিড আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে।  একই সময়ে, সক্রিয় সংক্রমণ বেড়ে ৪০৯৭ হয়েছে।  গত ২৪ ঘন্টায়, সারা দেশে কোভিডের কারণে ৬ জন মারা গেছে, যার মধ্যে দুটি মহারাষ্ট্রে, কর্ণাটক, দিল্লী, কেরালা এবং পশ্চিমবঙ্গে একটি করে।

 স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনার ৪,৫০,১০,৯৪৪ আক্রান্ত রোগী রিপোর্ট করা হয়েছে।  একই সময়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪৬ জন।  একই সময়ে, Omicron এর সাব-ভেরিয়েন্ট JN.1-এর ১০৯ আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।  এর আগে বুধবার দিল্লীতে জেএন.১-এর প্রথম আক্রান্ত রোগী পাওয়া গিয়েছিল।  এর আগে নয়ডাতেও জেএন.১-এর ঘটনা পাওয়া গেছে।  কেরালায় এর প্রথম আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।  দেশে হঠাৎ করে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার পর দিল্লী AIIM হাসপাতালগুলির জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে।

 দিল্লীর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ বুধবার বলেছিলেন যে দিল্লীতে JN.1 এর প্রথম আক্রান্ত রোগী প্রকাশ পেয়েছে।  প্রকৃতপক্ষে, দিল্লীতে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য তিনটি নমুনা পাঠানো হয়েছিল, এবং তাদের মধ্যে একটিতে JN.1 নিশ্চিত করা হয়েছিল, যখন Omicron ভেরিয়েন্ট দুটি পাওয়া গেছে।  একজন আধিকারিক বলেছেন যে ৫২ বছর বয়সী এক মহিলার মধ্যে JN.1 রূপটি নিশ্চিত করা হয়েছে।  তিন-চার সপ্তাহ আগে ওই মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।  মহিলার করোনার হালকা উপসর্গ ছিল।  তার কাশি ও শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল।  তবে মহিলার স্বাস্থ্য এখন ভালো, তাকেও হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

 

 করোনার JN.1 ভেরিয়েন্টটিকে অন্যান্য ভেরিয়েন্টের তুলনায় বেশি সংক্রামক বলা হয় এবং অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে, এখনও পর্যন্ত এই বৈকল্পিক থেকে কোনও গুরুতর হুমকি উদ্ভূত হয়নি।  ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন JN.1 ভ্যারিয়েন্টকে 'আগ্রহের বৈকল্পিক' হিসেবে বর্ণনা করেছে।  ডব্লিউএইচওর জানিয়েছেন, এর থেকে জনসাধারণের জন্য বড় কোনও হুমকি নেই।  ইতিমধ্যে বিদ্যমান ভ্যাকসিনগুলি এই রূপের বিরুদ্ধে কার্যকর।

 এর আগে বুধবার দেশে ৫২৯ জন নতুন করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।  এ সময় তিনজনের মৃত্যু হয়।  এর মধ্যে কর্ণাটকে দুজন এবং গুজরাটে একজন প্রাণ হারিয়েছেন।