ইংরেজি না জানায় ছাত্রীকে মারধর, চুল উপড়ে নিলেন শিক্ষিকা
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৮ ডিসেম্বর: ইংরেজি না জানার কারণে একজন স্কুল ছাত্রীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় তিনি পড়ুয়ার চুলও টেনে উপড়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের বেতুলের। দু'দিন আগেইবিষয়টি নিয়ে ছাত্রী ও তার পরিবার বেতুল কালেক্টরেট পৌঁছান। অভিযোগের পর পুরো বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন আধিকারিকরা।
অভিযোগ, আমলা ব্লকের খেদলি বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা পূর্ণিমা সাহু ম্যাডাম ইংরেজি না জানার কারণে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া এক ছাত্রীকে প্রথমে মারধর করেন এবং পরে তার চুল টেনে ধরেন, যার ফলে ছাত্রীর মাথা থেকে অনেকটা চুল উপড়ে যায়। এ বিষয়ে ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে আজ জেলা সদরে পৌঁছে গণশুনানিতে অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওটা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই শিক্ষিকা।
বিষয়টির গুরুত্ব দেখে পুরো বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন আধিকারিকরা। শিক্ষিকা যেভাবে ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করেছেন, তা অমানবিক বলেও মনে করছেন তারা। একটি টিম পাঠিয়ে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা জানান, 'শিক্ষার্থী যত দুর্বলই হোক না কেন, কোনও শিক্ষক তাকে মারধর করার অনুমতি নেই। আমরা সম্পূর্ণ তথ্য জোগাড় করছি।'
পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে
পুলিশ আধিকারিকরা বলন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আক্রান্ত ছাত্রীর পরিবার জানায়, ইংরেজিতে কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারায় তাদের মেয়েকে নির্মমভাবে মারধর করা হয়। তাঁদের মেয়ে বলেছিল যে, সে পাঠটি মুখস্থ করে শোনাবে কিন্তু তিনি কোনও কথা শোনেননি। এলাকার পুলিশ আধিকারিকরাও পুরো পরিস্থিতি বুঝে সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবেন।
অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায়, ডিপিসি সঞ্জীব শ্রীবাস্তব অভিযোগগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করার জন্য একটি দল গঠন করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষিকা পূর্ণিমা সাহু অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন যে, মেয়েটির বাবার তাকে হয়রানির ইতিহাস ছিল এবং তাকে হুমকি দিয়েছিল। শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগও অস্বীকার করেছেন তিনি। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।
তথ্য অনুযায়ী, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন ছাত্রীর বাবা। তবে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছেন ওই শিক্ষক। বলা হচ্ছে যে, এই ঘটনাটি ১৫ ডিসেম্বর ঘটেছিল। একইসঙ্গে বাবা জানান, স্ত্রীর মৃত্যুর পর মেয়েকে একা বড় করায় অভিযোগ দায়ের করতে বিলম্ব হয়েছে।
No comments:
Post a Comment