'বদমাশ-অচল পাথর, বড় বড় কুম্ভকর্ণ'; বাম-বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ মমতার
উত্তর ২৪ পরগনা: '৩৪ বছর ধরে একটা বদমাশ-অচল পাথর বাংলায় বসেছিল', চাকলার সভা থেকে বামেদের আক্রমণ তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এর পাশাপাশি বিজেপিকে বড় ডাকাত ও কুম্ভকর্ণ বলেও আক্রমণ করেন মমতা। বৃহস্পতিবার দেগঙ্গায় চাকলায় কর্মীসভা করেন মমতা। তাঁর আগে লোকনাথ মন্দিরে পুজো দেন। এদিন মঞ্চ থেকে বিজেপি ও বামেদের তীব্র আক্রমণ শানান মমতা।
তিনি বলেন, শোভন দা বলছিলেন আমি শুনছিলাম, লোকনাথ মন্দিরের ওখান থেকে আমার কানে আসছিল যে, ৩৪ বছর ধরে একটা বদমাশ অচল পাথর বাংলায় বসেছিল, কিচ্ছু করেনি, কারও জন্য কিছু করেনি। আর বিজেপি আজ পর্যন্ত কারও জন্য কিছু করেনি।'
বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, "ইলেকশন আসলে মিথ্যে ভাঁওতা দেয়। এই প্রসঙ্গে, ভোটের আগে অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথাও মনে কিরে দেন তিনি। বলেন, মনে আছে আপনাদের; ১৫ লক্ষ টাকা দেব অ্যাকাউন্টে, বিজেপিকে ভোট দাও। কেউ পেয়েছিলেন একটাও টাকা? নোট বন্দির সময় কত ক্ষতি হয়েছিল। এই তো কিছুদিন আগে চারটে ইলেকশনের সময় বলল ২০০০ টাকার নোট বাতিল। সব লোকেরা তাড়াতাড়ি চলে গেল নোট ভাঙ্গাতে। তারপর বলছে না না বাতিল হবে না। তার কারণ বাতিল হবে কি করে, সব নোট তো বিজেপির ঘরে। সব নোট তো বিজেপির ঘরে। যত ইডি আর সিবিআই ঢোকাচ্ছে তত টাকা লুট করছে। আর এই টাকাগুলো বিজেপির পকেটে যাচ্ছে। কোভিড যখন হয়েছিল মনে আছে; পিএম কেয়ার ফান্ড, কত টাকা তুলেছে আজ পর্যন্ত, কেউ জানে না। তারপরেও তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে হাত তুলবে।"
এখানেই থামেননি মমতা। তিনি বলেন, "প্রতিদিন পুলিশ দেখলে চোর বলছে, তৃণমূলকে দেখলে চোর বলছে, আমি বলি চোরের জ্যাঠামশাই তোরা। চোরের ঠাকুরদা। তোরা ছিচকে চোর নোস, তোরা বড় বড় ডাকাত। তোমরা বড় বড় কুম্ভকর্ণ। কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে দেশটাকে বেচে দিয়ে শুধু হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা লাগিয়ে, কখনও ইলেকশনের আগে তপশিলিদের ঘরে গিয়ে নিজে বাইরে থেকে খাবার রান্না করে নিয়ে এসে খাচ্ছে। খেয়ে বলছে দেখো আমি তপশিলির বন্ধু। তারপরে চার বছর কোনও খোঁজ খোঁজ ছিল না। আজকে আবার দেখবেন ইলেকশন আসবে তখন বন্ধু সাজার চেষ্টা করবে।"
No comments:
Post a Comment