৩৭০ ধারা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে ঢুকল চীন! উল্লেখ পাকিস্তানের
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১২ ডিসেম্বর : জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টও এই পদক্ষেপকে সাংবিধানিক ঘোষণা করলে পাকিস্তান নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। পাকিস্তান বলেছিল যে, "এটি একটি আন্তর্জাতিক বিরোধ এবং এর মীমাংসা ইউএনএসসি রেজুলেশন অনুযায়ী হওয়া উচিৎ। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার ভারতের একার নেই।" এখন এ বিষয়ে চীনের প্রতিক্রিয়াও প্রকাশ পেয়েছে। চীনও পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছে এবং বলেছে যে ভারত ও পাকিস্তানকে একে অপরের সাথে আলোচনা করে এই বিরোধের সমাধান খুঁজে বের করা উচিৎ।
পাকিস্তানের অন্তর্বর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানিও সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছিলেন। এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রশ্ন করা হলে মুখপাত্র মাও নিং বলেন, "কাশ্মীর ইস্যুতে চীনের অবস্থান স্পষ্ট এবং স্থায়ী। জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ভিত্তিতে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হওয়া উচিৎ।"
নিং বলেন, "আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য দুই পক্ষেরই বসে আলোচনা করে এই বিষয়টির সমাধান খুঁজে বের করা উচিৎ।" পাকিস্তান ও চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এসব বক্তব্যের বিষয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে ভারত ইতিমধ্যেই বলেছে যে, "জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এর সাথে সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়া ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এতে অন্য কোনও দেশের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। ৫ অগাস্ট, ২০১৯-এ, কেন্দ্র জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অপসারণ করে এবং এটিকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে।"
এরপর থেকে ভারত সরকারের সিদ্ধান্তকে ভুল বলে আসছে পাকিস্তান। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর পাকিস্তান বলেছে, তারা জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সংবিধান মানে না। পাকিস্তান এবং চীন একে অপরের চিরসবুজ বন্ধু। একইসঙ্গে এলএসি-তে ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।
No comments:
Post a Comment