ত্বকের সমস্যা দূর করবে গাঁদা ফুল
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৩ ডিসেম্বর:
শীতের মৌসুম মানেই হল রঙিন ফুলের বাহার। আর এই সময়ের অন্যতম ফুল হল গাঁদা ফুল। গাঁদা ফুল দেখতে যেমন আকর্ষণীয় হয় তেমনিই এর উপকারিতাও অনেক। বিশেষ করে ত্বকের যত্নে গাঁদা ফুলের উপকারিতা অনেক।
এই গাঁদা ফুলকে ক্যালেন্ডুলাও বলা হয়। এতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান।এমনকি গাঁদা ফুল অ্যান্টিসেপটিক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
গাঁদা ফুলের পাপড়ি বিশেষ উপায়ে শুকিয়ে তৈরি করা হয় এক ধরনের তেল। যা শুষ্ক ত্বকের প্রাণ ফেরায়,ত্বকের বলিরেখা আসতে দেয় না।এতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় ব্রণের সমস্যারও হয় সমাধান।
কিভাবে তৈরি করবেন গাঁদা ফুলের তেল?
প্রথমে গাঁদা ফুলের পাপড়ি সংগ্রহ করে বিষয়ে উপায়ে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর ওই পাপড়িগুলো জোজোবা,অলিভ অথবা সুইট আমন্ড অয়েলে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
কয়েক সপ্তাহ পর পাপড়িগুলো ছেঁকে আলাদা করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে গাঁদার ফেসিয়াল অয়েল। এই তেল ত্বকে লাগালেই সমাধান হয়ে যাবে ত্বকের যেকোনো সমস্যার।
গাঁদা ফুলের ফেস মাস্ক:
রুক্ষ,শুষ্ক ত্বক থেকে তৈলাক্ত স্কিন সবেতেই দারুন কাজ করে গাঁদা ফুলের তৈরি ফেস মাস্ক। এরজন্য গাঁদা ফুলের পাতা দই ও মধু দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এই মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে ১৫-২০মিনিট রেখে গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন,কিছু দিনের মধ্যেই তফাৎ নিজেই দেখতে পারবেন।
গাঁদা ফুলের টোনার:
গাঁদা ফুল দিয়ে তৈরি হয় একটি বিশেষ ধরনের চা। এই চা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এমনকি এই চাকে টোনার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। এতে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকায় স্কিনের অ্যালার্জি জনিত সমস্যায় দারুন কাজে দেয় এই টোনার।
গাঁদা ফুলের ক্রিম:
মৌচাক থেকে সংগৃহীত মোমের সঙ্গে গাঁদা ফুলের তেল মেশালেই তৈরি হয়ে যায় উপকারী গাঁদা ফুলের ক্রিম। যা ব্যবহারের মুহূর্তেই উধাও হবে ত্বকের শুষ্কতা।আর এ কারণেই অনেক ক্রিম,ময়েশ্চারাইজারে ব্যবহার করা হয় গাঁদা ফুল।
No comments:
Post a Comment