অ্যাজমা থাকলে মেনে চলবেন যে টিপসগুলো
প্রেসকার্ড নিউজ,হেল্থ ডেস্ক,২৫ ডিসেম্বর: অ্যাজমার রোগীরা শীতকালে খুব চিন্তিত হতে শুরু করেন।ঠাণ্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের সর্দি,কাশি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যাও বাড়তে থাকে।অনেক সময় প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও ঠান্ডা বাতাসের কারণেও শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে যায়।যখন হাঁপানির আক্রমণ হয়,তখন সারা রাত কাশিতে রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।আপনারও যদি কাশির কারণে সারা রাত ঘুম না হয়,তাহলে আমরা আপনাকে কিছু বিশেষ টিপস বলছি যার মাধ্যমে আপনি শীতে হাঁপানির প্রকোপ কমাতে পারবেন।
ঘর পরিষ্কার রাখুন -
হাঁপানি রোগীর উচিৎ তার ঘর পরিষ্কার রাখা।খেয়াল রাখবেন ঘরে যেন ধুলাবালি না থাকে।ঘর নোংরা হলে ঘুমানোর আগে ঘর মুছে নিন।ফ্যান,আলমারি বা বিছানায় একেবারেই ধুলাবালি বা ময়লা থাকা উচিৎ নয়।
ঘরে এয়ার ফ্রেশনার বা পারফিউম ব্যবহার করবেন না –
পরিবারের কারও যদি হাঁপানির সমস্যা থাকে তাহলে পারফিউম বা কোনও ধরনের এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করবেন না।বিশেষ করে রোগীর ঘরে তীব্র সুগন্ধযুক্ত জিনিস রাখা এড়িয়ে চলুন।এটি অ্যাজমা অ্যাটাকের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।ধূপ বা ধূমপান থেকে দূরে থাকুন।
ঘুমানোর সময় মাথা উঁচু রাখুন –
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে,হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তির ঘুমের সময় মাথার অবস্থান উপরের দিকে রাখা উচিৎ।এটি সাইনাসের সংক্রমণে সাহায্য করে।এই ধরনের লোকদের সোজা হয়ে শোওয়া এড়িয়ে চলা উচিৎ।এটি পোস্টন্যাসাল ড্রিপ বাড়াতে পারে,যা হাঁপানির আক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।তাই সবসময় মাথা একটু উঁচু করে ঘুমান।
পোষা প্রাণী দূরে রাখুন -
ডাক্তাররা বলেন যে,হাঁপানি রোগীদের তাদের শোবার ঘর থেকে পোষা প্রাণী দূরে রাখা উচিৎ।যতই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হোক না কেন,প্রাণীদের শরীরে অনেক ধরনের ময়লা থাকে যা হাঁপানি রোগীর সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
বিছানার চাদর এবং বিছানা পরিষ্কার রাখুন -
হাঁপানি রোগীদের তাদের বিছানার চাদর,গদি এবং লেপ,কম্বল সব পরিষ্কার রাখতে হবে।এটি হাঁপানির আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে।হালকা সাবান দিয়ে উষ্ণ জলে এগুলো ধুয়ে নেবেন।গদি এবং বালিশে সর্বদা কভার দিয়ে রাখুন যাতে ধুলাবালি প্রবেশ করতে না পারে।
শীতে যেভাবে যত্ন নেবেন -
প্রচন্ড ঠান্ডায় বাইরে যাবেন না।যখনই বাড়ি থেকে বের হবেন তখনই মাস্ক পরুন।ধূমপানের জায়গায় যাবেন না।গরম এবং টাটকা খাবার খান।গরম কাপড় দিয়ে শরীর ঢেকে রাখুন। কিছুক্ষণ রোদে বসে গরম জল পান করুন।প্রতিদিন পালং শাক,বিটরুট এবং মসুর ডাল খেতে হবে।রাতে ঘুমানোর আগে হলুদ ও গোলমরিচ দিয়ে দুধ পান করুন।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment