জানেন কী, কীভাবে এল হাওয়াই মিঠাই?
প্রদীপ ভট্টাচার্য, ১৫ই ডিসেম্বর, কলকাতা: হাওয়াই মিঠাই দেখলেই মনে পড়ে যায় শৈশবের স্মৃতি। মেলায় গেলেই দেখা যেত গোলাপী কিংবা সাদা রঙের হাওয়াই মিঠাই। দেখতে ফোলানো ফাঁপা হলেও হাতে নিলেই চুপসে যেত। ছোটদের তো প্রিয় ছিলই বড়দেরও কম পছন্দের নয় এটি। হাওয়াই মিঠাই এর ইংরেজি নাম কটন ক্যান্ডি। জানেন কি এই হাওয়াই মিঠাই এর চল প্রথম কোন দেশে হয়েছিল?
মজাদার এই ক্যান্ডির জন্ম হয়েছিল সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তাইতো দেশটিতে প্রতিবছর ৭ই ডিসেম্বর হাওয়াই মিঠাই দিবস পালিত হয়। মূলত এই দিবসটি হচ্ছে জাতীয় কটন ক্যান্ডি ডে। কটন ক্যান্ডির নাম প্রথম ব্যবহার করেন মার্কিন দ্বন্দ্ব বিশারদ জোসেফ ল্যফকফ। মূলত দাঁতের চিকিৎসা শেষে রোগীর ভালো অনুভূতি হবার জন্য তিনি এটি খাওয়ার অনুমতি দিতেন। অন্য ক্যান্ডি খাবার পর তা দাঁতের সঙ্গে লেগে থাকে। দাঁত পরিষ্কার না করলে নানা সমস্যা হয়। তাই জোসেফ ক্যান্ডির বিকল্প হিসেবে কটন ক্যান্ডি খেতে বলতেন।
হাওয়াই মিঠাই এর জন্ম অনেক আগে। ইতিহাস সূত্রে জানা যায় ১৫০০ শতকে এই ক্যান্ডি প্রথম বানানো হয়, যা বানিয়েছিলেন একজন ইতালীয় রাধুনী। তিনি চিনির সিরাকে কাঁটা চামচ দিয়ে টেনে সুতোর মতো তৈরি করতেন। তবে ওই সময় এর নাম হাওয়াই মিঠাই ছিল না।
ষোড়শ শতকে ভেনিস ভ্রমণ কালে ফ্রান্সের সম্রাট তৃতীয় হ্যানফ্রিকে বিভিন্ন মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। সেখানে ছিল চিনির প্যাঁচানো সুতো। ওই সময় হাওয়াই মিঠাই যন্ত্র আবিষ্কৃত হয়নি তাই কাঁটা চামচের মাথায় চিনির সিরা লাগিয়ে টেনে পেঁচিয়ে সুতোর মতো বানানো হতো।
১৯০৪ সালে মরিসন এবং ওয়াটন প্রথম হাওয়াই মিঠাই যন্ত্র আবিষ্কার করেন। যুক্তরাষ্ট্রের এক মেলায় তারা হাওয়াই মিঠাইয়ের দোকান দেন। মেলায় সবার দৃষ্টি ছিল সেখানেই। প্রায় সত্তর হাজার হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করেন তারা। বর্তমান সময়ে যে হাওয়ায় মিঠাই পাওযা যায় তার উদ্ভাবন হয়েছে গত শতাব্দীতে।
১৯৪৯ সালে গোল্ড মেডেল প্রোডাক্ট হাওয়াই মিঠাই তৈরীর উন্নত যন্ত্র নিয়ে আসে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি হাওয়াই মিঠাই যন্ত্র তৈরি হয় এই প্রতিষ্ঠান থেকেই।
No comments:
Post a Comment