স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এই ৫ খাবার থাইরয়েড রোগীদের জন্য বিষ
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৮ জানুয়ারি: বর্তমানে খারাপ জীবনযাত্রার কারণে মানুষ নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়। বেশিরভাগ মানুষই বিপি, সুগার ইত্যাদি নানা রোগে ভুগছেন। এই রোগগুলির মধ্যে একটি হল 'থাইরয়েড', যা আজকাল খুব সাধারণ সমস্যা হয়ে উঠেছে। সাধারণত, থাইরয়েড সমস্যা পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সাবধানে খেতে হবে। সম্প্রতি আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ দীক্ষা ভাবসার এমন কিছু খাবারের কথা বলেছেন যেগুলো উপকারী, কিন্তু এই সব খাবারেই আছে গয়ট্রোজেন। গয়ট্রোজেন হল এমন পদার্থ যা থাইরয়েড হরমোন উৎপাদনে বাধা দেয়। থাইরয়েড রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক সেই খাবারগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক
১) পিনাট বাটার- চিনাবাদাম এবং এর মাখনে গয়ট্রোজেন থাকে, যা হাইপোথাইরয়েডিজমের জন্য খারাপ হতে পারে। তাই হাইপোথাইরয়েড/হাশিমোটো আক্রান্ত ব্যক্তিদের এটি এড়ানো উচিৎ।
২) রাগি- রাগি আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, এটি ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু গয়ট্রোজেনিক খাবার হওয়ায় মাসে ২-৩ বার ভালো করে ভিজিয়ে রান্না করে খাওয়া উচিৎ।
৩) বাদাম- বাদাম সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ। এই দুটিই থাইরয়েড ফাংশনের জন্য খুব ভালো। যাইহোক, এটাও মনে রাখা উচিৎ যে বাদাম একটি গয়েট্রোজেনিক খাবার। অতএব, অতিরিক্ত খাওয়া ফলে, এটি থাইরয়েড বৃদ্ধি করতে পারে যা থাইরয়েড গ্রন্থির আয়োডিন শোষণ করার ক্ষমতা হ্রাস করে। হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রতিদিন ৩-৫টি বাদাম খেতে পারেন, তবে এর বেশি নয়।
৪) সোয়া - সোয়াযুক্ত খাবার শরীরের সঠিকভাবে শোষণ করার ক্ষমতা পরিবর্তন করে থাইরয়েডের লক্ষণগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে। গয়ট্রোজেনগুলি সোয়া-ভিত্তিক খাদ্য আইটেমগুলিতেও পাওয়া যায়, যা থাইরয়েড গ্রন্থিতে জ্বালা সৃষ্টি করে, তাই সোয়া থেকে তৈরি জিনিসগুলি এড়ানো উচিৎ।
৫) গম- গমে গ্লুটেন থাকে। গ্লুটেন একটি সম্ভাব্য গোইট্রোজেনিক খাদ্য। অটোইমিউন হাইপোথাইরয়েডিজমের ক্ষেত্রে গম কম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরীক্ষায় দেখা যায় যে, যারা গ্লুটেন-মুক্ত খাবার খান তাদের রক্তে অ্যান্টিবডির ঘনত্ব কম থাকে, যা থাইরয়েড গ্রন্থিকে আক্রমণ করে।
থাইরয়েডের জন্য সেরা খাবার
ধনে, নারকেল, ব্রাজিল বাদাম, সূর্যমুখীর বীজ, কুমড়ার বীজ, মুগ জাতীয় জিনিস থাইরয়েড রোগীদের জন্য ভালো বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
No comments:
Post a Comment