অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিম্নমানের খাবার! শিক্ষিকাকে ঘিরে বিক্ষোভ
দেগঙ্গা: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের খাবার চুরি, নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ, স্কুল শিক্ষিকাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সাতসকালে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩৩৮ নং মির্জানগর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে।
স্কুল ভবন নেই। একটি বাড়ির সামনে আমগাছের নিচে পলিথিন টাঙিয়ে চলে খুদে পড়ুয়াদের নিয়ে পঠনপাঠন। আর সেই শিশু পড়ুয়াদের স্কুলে মিড ডে মিলের খাবার চুরির পাশাপাশি নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ উঠল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে স্কুলের শিক্ষিকাকে ঘিরে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন শিশুর অবিভাবকেরা।
দীর্ঘ ৪ থেকে ৫ মাস মেলে না ডিম ও তরকারি। শুধুই খিচুড়ি তাও আবার হলুদ গুলে। মেলে না ডাল। মজুত ঘর থেকে মিলল ডাল ও চাল মেশানো চালের বস্তা, যার মধ্যে ডালের পরিমাণ নেই বললেই চলে। কার্যত রাঁধুনির স্বীকাক্তিতে মিলেছে, 'ঠিক মত জোগান না দিলে আমি কি করব।'
এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মোট ৭০ জন শিশুর এভাবে মিড মিলের খাবার চুরি নিয়ে গর্জে উঠলেন সকলেই।অভিভাবকদের অভিযোগ, এই খিচুড়ি বাচ্চার গালে দিলে খায় না, বার করে দেয়। এতে ডাল-সবজি কিছুই নেই। এ খালি হলুদ দেওয়া চাল।
এক অভিভাবক আজমিরা বিবি বলেন, 'এখান থেকে বলছে সরকার থেকে ডিম দিচ্ছে না, সবজি, পয়সা দিচ্ছে না, আমরা কি ঘরের থেকে দেব! তাহলে এরকম ডাল ছাড়া খিচুড়ি না দিয়ে স্কুলটাই বন্ধ থাক।'
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রাঁধুনি তথা সহায়িকা রোশনারা বিবি বলেন, 'এখন সবজি, ডিম বন্ধ। এখানে বস্তায় যা চাল-ডাল থাকে আমি এসে নিয়ে রান্না করি। আমি হেল্পার, আমাকে দিদিমণি যা দেয়, তাই রান্না করি। আমার কিছু করার নেই।'
শিক্ষিকা হরিদাসী মণ্ডল বলেন, 'চার মাস টাকা পাচ্ছি না। তার জন্য আমাদের ডিম, সবজি জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে বন্ধ। আমি অফিসে আবেদনপত্র জমা দিয়েছি।' তবে কতজন শিশু এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আছে, জানতে চাইলে সঠিক ভাবে বলতে পারেননি শিক্ষিকা।
No comments:
Post a Comment