গায়ক নয়, ভিখারী হতে চেয়েছিলেন অরিজিৎ সিং! কারণ জানলে চমকে উঠবেন

 

গায়ক নয়, ভিখারী হতে চেয়েছিলেন অরিজিৎ সিং! কারণ জানলে চমকে উঠবেন 

প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৭ জানুয়ারি:

অরিজিত সিং, বর্তমানে ভারতীয় সংগীতের দুনিয়া কার্যত এই নামটা ছাড়া অসম্পূর্ণ। অরিজিত সিং শুধু বাংলার নন, এই বাঙালি গায়ক গোটা দেশ তথা পৃথিবীর মন জয় করেছেন তার গায়কী দিয়ে। তবে জানেন কি এত ভাল গান গাওয়ার প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও অরিজিৎ গায়ক হতে চাননি? তিনি চেয়েছিলেন ভিখারী হতে। কেন জানেন?

 অল্প বয়সে ফেম গুরুকুল সংগীত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রথম মঞ্চে গান গাওয়ার সুযোগ পান অরিজিত। সেবার তিনি বিজয়ী হতে পারেননি ঠিকই কিন্তু তার গান গাওয়ার পথ প্রশস্ত হয়ে গিয়েছিল। এরপর তিনি বলিউডে প্লেব্যাক গাওয়ার সুযোগ পান। অরিজিৎকেকে এর পরে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তিনি ভারতের সেরা সংগীত শিল্পীদের মধ্যে একজন। অথচ তিনি নাকি গায়ক হতেই চাননি, সব হারিয়ে হতে চেয়েছিলেন ভিখারী! কিন্তু কেন?

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয় অরিজিৎ সিংয়ের একটি সাক্ষাৎকার। সেখানে অরিজিতকে যে কথাগুলো বলতে শোনা যাচ্ছে তা শুনে ভক্তদের গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছে। অরিজিত এই সাক্ষাৎকারে তার ছোটবেলার কথা তুলে ধরেছেন। কথা বলছেন পড়াশোনা নিয়ে। তিনি জানাচ্ছেন পলিটিক্যাল সায়েন্সটা তার মাথায় তেমন ঢুকত না। বরং তিনি পছন্দ করতেন ফিলজফি বা দর্শন বিদ্যা।

দর্শন ছিল অরিজিতের সবথেকে পছন্দের বিষয়

অরিজিত জানিয়েছেন ছোটবেলায় তার মনে হত তিনি দর্শন বিষয়টা ভাল উপলব্ধি করতে পারেন। তার মনে হত দর্শনের সঙ্গে মনোবিজ্ঞানের বেশ মিল রয়েছে। তার এক বন্ধুর বাবা ছিলেন কলেজের ফিলোজফির অধ্যাপক। তিনি তাদের বাড়িতে যান এবং বন্ধুর বাবার লাইব্রেরী থেকে দর্শন সম্বন্ধীয় একটি বই পড়েন। সেই বই পড়ে তার মনের চিন্তা ভাবনা বদলে যায়। সেই সঙ্গে অদ্ভুত এক ইচ্ছে জাগে তার মনে।

দর্শনের ওই বইটি পড়ে অরিজিতের মনে হয় তিনি যেন কোনও অজানা জিনিস বুঝতে পেরেছেন। সেই সঙ্গে তিনি পরিকল্পনা করে ফেলেন তিনি ভিখারি হবেন। কারণ তার মনে হতে থাকে পৃথিবীতে যত লোক আছে সকলের কাছ থেকে এক টাকা করে পেলেও তো তিনি বিপুল অর্থের মালিক হতে পারবেন। তাই তিনি ভিক্ষাবৃত্তিকেই নিজের পেশা হিসেবে বেছে নিতে চেয়েছিলেন। যদিও অরিজিতের ভাগ্য তাকে ভিখারী হতে দেয়নি।

যে মানুষটা একদিন সবকিছু ছেড়ে ভিখারী হতে চেয়েছিলেন আজ শ্রোতাদের কাছে তিনি সুরের দেবতা। তার যোগ্যতাই ঘুরিয়ে দিয়েছে ভাগ্যের মোড়। এখন গোটা পৃথিবী তার পায়ে মাথা নত করে। এক একটি সংগীত অনুষ্ঠান থেকে কোটি কোটি টাকা রোজগার করেন তিনি। যদিও তিনি কিন্তু খুব সাধারণ জীবনযাপনই করেন। রোজগারের একটা বড় অংশ জনসেবার কাজে খরচ করে নিজে কাটান সাধারণ জীবন।