বরফের দেশেও শরীর থাকবে চাঙ্গা! এই মরসুমে বাজার কাঁপাতে চলে এল ট্রেন্ডি জ্যাকেট
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১১ জানুয়ারি: শীত পড়েছে ঝাঁকিয়ে গোটা দেশের বিভিন্ন জায়গায় শীতবস্ত্র নিয়ে বসে পড়েছেন দোকানিরা। বড় বড় মল থেকে শুরু করে রাস্তার ফুটপাত, সর্বত্র এখন শীত বস্ত্রের সমাহার। তবে সম্প্রতি ভারতবর্ষের মধ্যপ্রদেশে একটি অনবদ্য জ্যাকেটের চাহিদা বাড়লো মানুষের মানুষের মধ্যে। কি এমন বিশেষত্ব রয়েছে জ্যাকেটটির মধ্যে?
শীত পড়তেই নানা রকম পোশাকের চাহিদা বেড়ে যায় আমাদের মধ্যে, কারণ গরমকালে একটি পোশাকেই হয়ে যায় কিন্তু শীতকালে হাতের মোজা, মাথার টুপি, চাদর, জ্যাকেট, পায়ের মোজা আরো কত কিছুর সম্ভার থাকে। তাই শীতকালে পোশাকের প্রতি যে একটি আলাদা আকর্ষণের কাজ করে মানুষের তা বলাই বাহুল্য। তেমনি একটি আকর্ষণীয় পোশাক হলো কাশ্মীরি জ্যাকেট।
প্রতিবছর মধ্যপ্রদেশের ভিন্ড মার্কেটের চার জায়গায় বসে তিব্বত বাজার, যেখানে পাওয়া যায় হরেক রকম ইউনিক স্টাইলের শীতপোশাক। এই বাজার গুলিতে প্রতিবছর আলাদা আলাদা ডিজাইনের এবং হরেক রকমের গরম জামা পাওয়া গেলেও এবারের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু কাশ্মীরি জ্যাকেট। নারী-পুরুষ উভয় নির্বিশেষে পছন্দ করছেন এই জ্যাকেট। কি এমন বিশেষত্ব রয়েছে এই জ্যাকেটের?
আসলে এই জ্যাকেটের যেটি সবথেকে বড় বিশেষত্ব সেটি হল এই জ্যাকেট অন্যান্য জ্যাকেটের তুলনায় আপনার শরীরকে অনেক বেশি গরম রাখবে। এমনকি হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রা নেমে গেলেও আপনার লাগবে না একফোঁটা ঠান্ডা। বুঝতেই পারছেন কেন এই জ্যাকেটের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে এই মুহূর্তে। দিল্লি, মুম্বাইতে এমনিতেই ঠান্ডা অনেকটাই বেশি তার ওপর যদি কেউ শিমলা বা গ্যাংটক বেড়াতে যান, তাহলে তো তাদের কাছে এই জ্যাকেট হবে সোনায় সোহাগা।
কাশ্মীরে যখন তুষারপাত হয় তখন নাকি এই জ্যাকেট ব্যবহার করা হয় আর তাই এই জ্যাকেটটিকে এবার সারা বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই মধ্যপ্রদেশের ভিন্ড মার্কেটে বসছে কাশ্মীরে জ্যাকেটের সমাহার। তবে শুধু গরমের দিক থেকে নয়, নরমের দিক থেকেও কিন্তু এই জ্যাকেটে গিয়ে রয়েছে অনেকটাই।
কাশ্মীরে যখন তুষারপাত হয় তখন নাকি এই জ্যাকেটটিকে ব্যবহার করা হয়। স্টাইলের দিক থেকেও এই জ্যাকেটটি ১০ গোল দেবে অন্যান্য জ্যাকেটগুলিকে। ফলে উইন্টার ফ্যাশন নিয়ে যারা নতুনত্ব কিছু ট্রাই করবেন ভাবছেন তাদের জন্য অবশ্যই এবারের ট্রেন্ড কাশ্মীরি জ্যাকেট। দেরি না করে তাহলে এখনি চলে যান মধ্যপ্রদেশে এবং বাড়ি নিয়ে আসুন এই অনবদ্য জ্যাকেটটি।
No comments:
Post a Comment