কলকাতা থেকে ঢাকা পর্যন্ত জলপথের যাত্রা শুরু রাজারহাট-সির - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 29 January 2024

কলকাতা থেকে ঢাকা পর্যন্ত জলপথের যাত্রা শুরু রাজারহাট-সির

 


কলকাতা থেকে ঢাকা পর্যন্ত জলপথের যাত্রা শুরু রাজারহাট-সির



কলকাতা: বাঙালি সব সময় ভ্রমণপিপাসু। ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ যাওয়ার বিমান, রেলপথে এবং সড়ক পথের যোগাযোগ রয়েছে। এবার কলকাতা থেকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় নৌ ভ্রমণ করতে পারবে ভ্রমণপিপাসু মানুষজন। সঙ্গে বাড়তি পাওনা চলার পথে দুই বাংলার সুন্দরবন দর্শন।


দুই বাংলার মেলবন্ধনে কলকাতার গঙ্গা নদীর জলপথের এই বিলাসবহুল যাত্রা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের এমকে শিপিং লাইন্স ও ভারতের কনিস্ক শিপিং লাইন্স পক্ষ থেকে কলকাতা থেকে ঢাকা নৌপথে রাজারহাট-সি জাহাজ যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি দুই দেশের সুন্দরবন প্রদর্শনের প্যাকেজ ট্যুরের ব্যবস্থা করেছে।


জলপথে এই ভ্রমণে পর্যটকরা আসবেন দুই বাংলার সুন্দরবন ছুঁয়ে। এর আগে ১৯৭২ সালে এই ধরনের জলপথে যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তীতে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। ফের দুই দেশের বেসরকারি উদ্যোগে জলপথের যাত্রা শুরু হয়েছে।


৩ দিনের যাত্রায় ঢাকা থেকে ছেড়ে চাঁদপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, কাউখালীত, জিএম চ্যানেল,মঙ্গলা, আংটিহারা, হেমনগর, নামখানা, ডায়মন্ডহাবরা হয়ে কলকাতায় প্রবেশ করবে রাজারহা-সি।


 বিলাসবহুল জাহাজে সফরে কত খরচ পরবে জনপ্রতি? সেই সমস্ত বিষয়ে এম কে শিপিং লাইন্সের মালিক মহম্মদ মাসুম খান বলেন, 'বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রচুর লোকজন যাতায়াত করে কেউ রেলপথে কেউ বা বিমানে আবার কেউ বা সড়কপথে (বাসে)। কলকাতায় বিভিন্ন ধরনের মানুষজন যাতায়াত করে। কিন্তু নৌপথে সচরাচর বিদেশি পর্যটকদের যাওয়া হয় না। নৌপথে যাওয়ার প্রধান আকর্ষণ সুন্দরবন।'


তিনি আরও বলেন, 'এই পরিষেবাটা চালু করার জন্য ভারত সরকার যথেষ্ট ভাবে আমাদের সাহায্য করেছে।গত মাসে বাংলাদেশ একটা মিটিং ছিল, সেই মিটিংয়ে বাংলাদেশ-ভারত চুক্তি মধ্যমে অনেক কিছু জটিল সমস্যার সমাধান হয়েছে। এই চুক্তির ফলে ইমিগ্রেশন সহজ হয়েছে, এই জাহাজে যারা আসবেন তাদের ভিসা খুব সহজ পাওয়া যাবে। এছাড়াও ভারত সরকার ঘোষণা দিয়েছে এই জাহাজে যারা আসবেন তাদের অনারেবল ভিসা দেওয়া হবে। আশা করি এই নৌপথের যাতায়াতটা খুবই জমজমাট হবে। মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যের বাংলাদেশে থেকে কলকাতায় আসতেও পারবে এবং যেতেও পারবে।'


মহম্মদ মাসুম খান আরও জানান, 'বেসরকারি ভাবে কার্নিভাল ক্রুজ লাইন্স ও ভারতের কনিস্ক শিপিং লাইন্স যৌথ উদ্যোগে এই পরিষেবা চলাচল শুরু হয়ে।যে জাহাজে করে যাতায়াত করা হবে তার নাম রাজারহাট-সি। এই জাহাজে নিচের আন্ডার বোটাম নিয়ে পাঁচটা ফ্লোর আছে। কিন্তু এই মুহূর্তে নিচের ফ্লোর ব্যবহার করছি না। আপাতত আমরা তিনটে ফ্লোর ব্যবহার করছি।'


যাতায়াতের জন্য কেমন খরচ পড়বে সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মহম্মদ মাসুম খান বলেন, 'যারা অল্প খরচে যাতায়াত করতে চায় তাদের জন্য সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বাঙ্কার বেডের ব্যবস্থা আছে। আর দোতালায় আমাদের ভিআইপি ও প্রিমিয়াম রুম আছে। কেউ যদি একা থাকতে চান তার জন্য সিঙ্গেল কেবিন ছাড়াও ডবল কেবিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোবাইল চার্জিং ব্যবস্থা করা আছে। খাবারের জন্য উন্নত মানের ক্যান্টিনের ব্যবস্থা করা আছে। জাহাজের ঠিক পিছনে শরীর চর্চা করার জন্য একটি জিমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খেলাধুলা জন্য জায়গা নির্ধারন করা হয়েছে। সমস্ত রকমের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা আছে এই জাহাজে।'


কোন জলপথ থেকে জাহাজ যাতায়ত করবে সেই বিষয়ে বলতে গিয়ে মহম্মদ মাসুম খান জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে চাঁদপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, কাউখালীত, জিএম চ্যানেল,মঙ্গলা, আংটিহারা, হেমনগর, নামখানা, ডায়মন্ডহাবরা হয়ে কলকাতায় আসা। সুন্দরবনের ভিতরে কোথাও আমাদের এই জাহাজ দাঁড়াবে না। যাত্রীদের মনোরঞ্জনের জন্য জাহাজ দাঁড়ালেও জাহাজের থেকে নামার অনুমতি নেই। তবে সুন্দরবনের ভেতর থেকে যখন জাহাজ যাবে ঠিক সেই সময় জাহাজের গতি আমরা একদম আস্তে করে দিই যাতে যাত্রীরা সুন্দরবনের মনোরম পরিবেশটা উপভোগ করতে পারে। ৩ দিন যেতে লাগবে আর আসতে ৩ দিন,মোট কমপ্লিট প্যাকেজ ৬ দিনের।


এই জাহাজে যাতায়াতের থাকা-খাওয়া নিয়ে সর্বনিম্ন খরচ পরবে একজনের জন্য ১০ হাজার টাকা। সর্বোচ্চ দুই জনের জন্য ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে যেটি কেবিন বেডে। কলকাতা থেকে ঢাকা যেতে ৩ দিন সময় লাগবে। প্রতি মাসের যেযন ফেব্রুয়ারি মাসে এই জাহাজে সিডিউল হচ্ছে, ১ থেকে ১৪ এবং ২৯ তারিখ কলকাতা থেকে ছেড়ে যাবে। প্রত্যেক মাসেই শিডিউল পরিবর্তন হবে। সর্বোচ্চ এই জাহাজে ৩০০ জন যাত্রী যেতে পারব।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad