যে কারণে শিশুদের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিস বাড়ছে দ্রুত
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৮ জানুয়ারি: গত কয়েক বছরে ডায়াবেটিস একটি মারাত্মক রোগে পরিণত হয়েছে।এটি এমন একটি রোগ যার কোনও চিকিৎসা নেই।আক্রান্ত ব্যক্তিকে সারা জীবন ওষুধের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হয়।তাছাড়া ভুক্তভোগীর সামান্য ভুলও তাকে হাসপাতালে যেতে বাধ্য করে।আরও উদ্বেগের বিষয় হলো,বর্তমানে শিশুদের মধ্যে ডায়াবেটিস দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং অভিভাবকদের অসতর্কতাই এর প্রধান কারণ।আসুন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
ডায়াবেটিস দুই প্রকার।টাইপ-১ ডায়াবেটিসের কারণ হলো জেনেটিক ও দুর্বল জীবনধারা এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস টাইপ-২ ডায়াবেটিসের পিছনে প্রধান কারণ বলে মনে করা হয়।এসব কারণে অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত হরমোন ইনসুলিনের পরিমাণ কমতে শুরু করে বা ইনসুলিন তৈরি হলেও শরীর তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে না।এমন অবস্থায় চিনি ঠিকমতো হজম হয় না এবং রক্তে চিনির পরিমাণ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে।এই অবস্থাকে ডায়াবেটিস বলা হয়।দেখা যাচ্ছে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে,বিশেষ করে স্কুলগামী শিশুদের মধ্যে।
কারণ কি?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন,বর্তমান সময়ে অভিভাবকরা অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।তাই তারা তাদের সন্তানদের স্বাস্থ্যের দিকে তেমন মনোযোগ দিতে পারছেন না।বিশেষ করে স্কুলগামী শিশুরা বেশিরভাগ সময় বাইরে থেকে আসা অস্বাস্থ্যকর খাবার খায়।বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে এবং বাইরে থেকে আসা অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন পিৎজা, বার্গার,চকোলেট ইত্যাদি খাওয়া ছোট শিশুদের নিত্যদিনের রুটিনে পরিণত হচ্ছে।
এছাড়া শিশুদের শারীরিক কার্যকলাপও অনেকটাই কমে গেছে।অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের জন্য সময় বের করতে অক্ষম এবং একা বাড়ির বাইরে যাওয়া শিশুদের আরও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।এমন পরিস্থিতিতে শিশুরা স্কুলের পরে বেশিরভাগ সময় বাড়িতে ঘুমিয়ে বা ইনডোর গেম খেলে কাটায়।
সেই সঙ্গে পড়ালেখার চাপ এবং সবসময় ফার্স্ট হওয়া শিশুদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করছে।এমন পরিস্থিতিতে ভুল খাবার খাওয়ার অভ্যাস,খুব খারাপ জীবনযাপন, মানসিক চাপ এবং শারীরিক অস্থিরতা শিশুদের স্বাস্থ্যের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।এই কারণে টাইপ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে।
প্রতিরোধের পদ্ধতি কি?
এই বিপদ থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য,তাদের খাদ্যের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
শিশুদের ডায়েটে তাজা ফল এবং শাক-সবজি অন্তর্ভুক্ত করুন।
শীতের মরসুমে আপনি গোটা শস্যকে তাদের দৈনন্দিন খাদ্যের একটি অংশ করতে পারেন।
আপনি যদি শিশুদের বাইরে নিয়ে যেতে না পারেন,তবে শিশুদের প্রতিদিন অন্তত ৪০ মিনিট ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন।
এছাড়া সময়ে সময়ে শিশুদের সঙ্গে কথা বলুন।এটি তাদের যেকোনও ধরনের চাপ বা মানসিক চাপ থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment