চিলব্লেইন্স- একটি শীতকালীন রোগ
প্রেসকার্ড নিউজ,হেল্থ ডেস্ক,৫ জানুয়ারি: শীতকাল প্রায় সবারই পছন্দ।এই সময়ে প্রবাহিত শীতের বাতাস সবার মনকে মুগ্ধ করে,তবে শীতে সংক্রামক রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।এই সময়ে কিছু রোগের প্রাদুর্ভাব দ্রুত দেখা যায়, যার মধ্যে একটি হল চিলব্লেইন্স রোগ।কিছু মানুষ প্রায়ই শীতকালে এই রোগের অভিযোগ করেন।
শীতের মরসুমে এর সমস্যা আরও বাড়ে।এর উপসর্গ হাত ও পায়ে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।এমন অবস্থায় হাতের আঙুল লাল বা বেগুনি হতে শুরু করে।ঠাণ্ডার কারণে পায়ে লাল ফুসকুড়ি দেখা দিতে শুরু করে।শুধু তাই নয়,আঙ্গুলে প্রচণ্ড ব্যথা ও চুলকানি হয়।অনেক সময় এই সমস্যা এতটাই বেড়ে যায় যে নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।আসুন জেনে নেই এই রোগের লক্ষণ,কারণ ও প্রতিরোধের উপায়।
প্রকৃতপক্ষে চিলব্লেইন্স একটি বেদনাদায়ক প্রদাহ,যা ঠান্ডার কারণে বারবার কষ্ট দেয়।চিলব্লেইন্সের কারণে হাত ও পায়ে চুলকানি,লাল দাগ এবং ফোলাভাব দেখা দেয়।চিলব্লেইন্স রোগে হাত-পায়ের আঙ্গুল ফুলে যায়।এই কারণে হাত ও পায়ে ফোলা এবং প্যাচ দেখা দিতে শুরু করে।ঠাণ্ডা বাতাসের সংস্পর্শে আসার কারণে এই সমস্যা শুরু হয়।চিলব্লেইন্স ত্বকে ফোলা,চুলকানি এবং নীল, সাদা এবং বেগুনি দাগ সৃষ্টি করে। এটি একটি সাধারণ সমস্যা,যা নিরাময় হতে দুই-তিন সপ্তাহ সময় লাগে।
শীতকালে খালি পায়ে হাঁটা এবং ঠান্ডা জল ব্যবহার করলে চিলব্লেইন্স রোগ হয়।তাই ঠাণ্ডায় শরীর গরম রাখুন।
শীতকালে ত্বকের বিশেষ যত্ন নিন।যাতে আপনি এই রোগ থেকে নিরাপদ থাকেন।কারণ শীতকালে এই রোগ দ্রুত ছড়ায়।
শীতকালে আঁটসাঁট পোশাক বা জুতো না পরলে চিলব্লেইন্সের ঝুঁকি বাড়ে।
চিলব্লেইন্স দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়।আবহাওয়া গরম থাকলে তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়।গরমে বিশেষ কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।ঠাণ্ডা এড়িয়ে চলুন এবং পরিপূর্ণ পোশাক পরিধান করুন।ঢেকে রাখলে তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।একটি টবে উষ্ণ জলে আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে এই জলটি দিয়ে আক্রান্ত স্থানে সেঁক দিন।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment