'রঙ বদলে গিরগিটিদের টক্কর দিচ্ছেন নীতীশ কুমার', আক্রমণে জয়রাম রমেশ
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৮ জানুয়ারি: অবশেষে ভেঙে গেল বিহারে মহাজোট। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন নীতীশ কুমার। নীতীশ রবিবার (২৮ জানুয়ারি) পাটনার রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসে বলেন যে, তিনি রাজ্যপাল রাজেন্দ্র আরলেকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। নীতীশের এই কর্মকাণ্ডের জেরে বড় ধাক্কা খেয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস, জেডিইউ নেতার ওপর এতটাই ক্ষুব্ধ যে এটি তাকে গিরগিটির সাথে তুলনা করেছে এবং বলেছে যে জনগণ তাকে কখনই ক্ষমা করবে না।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (যোগাযোগ) জয়রাম রমেশ লিখেছেন, "বারবার রাজনৈতিক অংশীদার বদলানো নীতীশ কুমার, রং বদলানোর ক্ষেত্রে গিরগিটিদের কড়া টক্কর দিচ্ছেন। এই বিশ্বাসঘাতকতার বিশেষজ্ঞ এবং তাকে ইশারায় নাচানোদের বিহারের মানুষ ক্ষমা করবে না। এটা খুবই স্পষ্ট যে প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রাকে ভয় পাচ্ছে এবং সেখান থেকে দৃষ্টি সরাতে এই রাজনৈতিক নাটক তৈরি করা হয়েছে।"
উত্তরবঙ্গের বাগডোগরায় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় জয়রাম রমেশ ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা বলেছেন। তিনি বলেন, 'ইন্ডিয়া জোট মজবুত। এখানে-সেখানে কিছু স্পিডব্রেকার মিলেছে। তবে আমরা একত্রিত হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করব। সমস্ত দল – ডিএমকে, এনসিপি, টিএমসি এবং এসপি একসঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এবং বিজেপিকে পরাজিত করবে। উল্লেখ্য, এদিকে পশ্চিমবঙ্গে টিএমসি এবং পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টি কংগ্রেসের সাথে জোট গঠন করতে অস্বীকার করেছে।
গত কয়েকদিন ধরেই নীতীশ কুমারের পালা বদলের খবর আসছে। প্রথম ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নীতীশ নিজেই। ২৩শে জানুয়ারী, বিহারে জননায়ক কার্পুরী ঠাকুরের জন্মবার্ষিকীতে, তিনি পরিবারতন্ত্র সম্পর্কে বলেছিলেন যে, কিছু দল তাদের পরিবারের সদস্যদের এগিয়ে দিয়েছে, কিন্তু কার্পুরী জি তা করেননি। আমরা কর্পুরী জির ছেলেকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছি। নীতীশের ইশারা ছিল আরজেডির দিকে, যার সুপ্রিমো হলেন লালু প্রসাদ যাদব এবং তাঁর ছেলে তেজস্বী যাদব ডেপুটি সিএম।
এর পাশাপাশি রবিবার জল্পনা চলছিল যে, নীতীশ কুমার পদত্যাগ করতে চলেছেন। সেই জল্পনায় সিলমোহরও পড়ে; রবিবার সকালে রাজ্যপাল রাজেন্দ্র আরলেকারের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে পৌঁছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। এই ভাবে তাঁর বিজেপিতে যোগদানের পথ পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। দেশে কয়েক মাসের মধ্যেই লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে। এটি বিহারের মহাজোটের পাশাপাশি ইন্ডিয়া জোটের জন্য একটি বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment