প্রতিদিন এক গ্লাস তাজা জুস পান করেন? জানেন উপকার হচ্ছে নাকি ক্ষতি?
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২২ জানুয়ারি: শিশুদের জন্য সবসময় স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হওয়া ১০০ শতাংশ ফলের রস এখন উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক গবেষণা প্রকাশ করেছে যে প্রতিদিন এক গ্লাস বা তার বেশি ১০০ শতাংশ ফলের রস পান করলে শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক উভয়েরই ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
এই গবেষণাটি আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন পেডিয়াট্রিক্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে ৪২টি গবেষণা বিশ্লেষণ করা হয়। গবেষকরা দেখেছেন যে, প্রতিদিন এক গ্লাস জুস পান করলে শিশুদের বডি মাস ইনডেক্স (BMI) ০.০৩ বেড়ে যায়, যা ছোট মনে হতে পারে কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে স্থূলত্বের কারণ হতে পারে। একই সময়ে, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে অতিরিক্ত রস পানের কারণে ওজন বৃদ্ধির সামান্য ঝুঁকিও দেখা গেছে।
ওজন বৃদ্ধির সম্ভাব্য কারণ
বেলি ক্যালোরি
এক গ্লাস রসে প্রচুর ক্যালরি থাকে, যা ফল খাওয়ার চেয়ে বেশি। জুসে ফলের ফাইবার থাকে না, যা আপনাকে পূর্ণতা অনুভব করায়, তাই জুস পান করার পর আপনি বেশি করে খাবার খেতে পারেন।
চিনির মাত্রা
জুসে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া চিনি ছাড়াও অনেক সময় কোম্পানিগুলো এতে বেশি মাত্রার চিনি যোগ করে। অতিরিক্ত চিনি খাওয়া ওজন বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ।
ক্ষিদের অনুভূতি হ্রাস
ফাইবারের অভাবে জুস পান করলে তাড়াতাড়ি ক্ষিদে পায় না। এটি প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে না, যার ফলে শরীরে পুষ্টির অভাবের লক্ষণ দেখা দিতে পারে এবং আপনি অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারেন।
এই গবেষণার ফলাফল শিশুদের এবং প্রাপ্তবয়স্কদের উভয় পিতামাতার জন্য সতর্কতামূলক। এর অর্থ এই নয় যে ফল খাওয়া বন্ধ করা উচিৎ। তবে, সীমিত পরিমাণে রস পান করা এবং প্রাকৃতিকভাবে ফল খাওয়ার পরিমাণ বাড়ানো বেশি উপকারী। আপনি যদি চান, আপনি নীচের টিপস অনুসরণ করতে পারেন-
- জুস পান না করে আস্ত ফল খান। এটি আপনাকে ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টি দেবে, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
- জুসের বদলে জল পান করুন। জল আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখবে এবং ক্যালোরির পরিমাণও কমিয়ে দেবে।
- জুস পান করতে হলে ফলের স্মুদি তৈরি করুন। আপনি এতে শাকসবজি এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যোগ করতে পারেন।
- জুস কেনার আগে লেবেলটি ভালো করে পড়ুন। কম পরিমাণে ক্যালোরি এবং চিনিযুক্ত জুস বেছে নিন।
No comments:
Post a Comment