কিষাণ মান্ডিতে ধান কেনাতে কালোবাজারি! ক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা, বীরভূম, ১৮ জানুয়ারি: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির দেওয়া চার্জশিটে উঠে এসেছে ধান কেনাবেচার দুর্নীতির অভিযোগ। রাজ্য সরকার কিষাণ মান্ডিতে ধান কেনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখা নির্দেশ দিলেও, সরকারি নির্দেশ তোয়াক্কা না করে চলছে কালোবাজারি। ক্ষোভে ফেটে পড়লেন কৃষকরা।
বীরভূমের বোলপুর শ্রীনিকেতন ব্লকের বোলপুর কিষান মান্ডিতে ধান বিক্রি করতে এসে তিক্ত অভিজ্ঞতা স্বীকার হলেন পারুই থানার কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালনগর গ্রামের কৃষক বামাচরণ সামন্ত। এদিন তিনি বোলপুর কিষাণ মান্ডিতে ৬২ ক্যুইন্টাল ধান বিক্রি করতে করেন। তাঁর অভিযোগ, ক্যুইন্টাল প্রতি ৪ কেজি, পাঁচ কেজি, এমনকি তিন কিলো করে ধান বেশি নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আর এই অভিযোগে রীতিমতো উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হলো বোলপুরের কিষান মান্ডি চত্ত্বরে।
সরকারিভাবে বোলপুরের রামকৃষ্ণ রাইস মিলের মধ্যস্থতায় চাষীদের কাছে ধান কেনা হচ্ছে। বোলপুরের রামকৃষ্ণ রাইস মিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্যুইন্টাল প্রতি অতিরিক্ত ধান নিয়ে নেওয়া হচ্ছে চাষীদের কাছ থেকে। যদিও এ বিষয়ে রাইস মিলের ম্যানেজার ক্যামেরার সামনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
অন্যদিকে বোলপুর কিষাণ মান্ডির দায়িত্ব থাকা এক আধিকারিক জানান, চাষিরা ধান বিক্রি করতে আসছেন, সঠিকভাবেই ধান কেনা হচ্ছে। কিন্তু যে ধান গুণগত মান খারাপ, সেক্ষেত্রে ক্যুইন্টাল প্রতি ধান তিন-চার কেজি করে নেওয়া হচ্ছে। যদিও এটি সরকারি গাইডলাইনের বহির্ভূত।
বোলপুরের রামকৃষ্ণ রাইস মিলের বিরুদ্ধে যখন ধান কেনা নিয়ে কালোবাজারের অভিযোগ উঠে আসছে ঠিক সে জায়গায় দাঁড়িয়ে আরও একটি তথ্য নিঃসন্দেহে চাঞ্চল্যকর। গরু পাচার কাণ্ডে কেন্দ্রীয় এজেন্সি এই রাইস মিলের মালিককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সূত্রের খবর, গরু পাচার কাণ্ডের কালো টাকা কেষ্ট ওরফে অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরে এই রাইস মিলে বিনিয়োগ হয়েছে।
No comments:
Post a Comment